হামবুর্গ: পাকিস্তানের নাম করেননি ঠিকই। কিন্তু  জি ২০ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন প্রস্তাব রেখেছেন, যাতে পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশের রক্তচাপ বাড়তে পারে। তিনি আহ্বান করেছেন, যে সব দেশগুলি জঙ্গিদের মদত দেয়, তাদের আমলাদের এই জি ২০ ভুক্ত দেশগুলিতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হোক।


পাকিস্তানের সুখদুঃখের বন্ধু চিনের সামনেই মোদী রেখেছেন এই প্রস্তাব। জানা গিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল প্রস্তাবটির খসড়া করেছেন।

গতকাল জি ২০ নেতৃবৃন্দ ২১ অনুচ্ছেদের যে যৌথ বিবৃতি পেশ করেছেন, তার প্রথম অনুচ্ছেদেই রয়েছে বিশ্বের প্রতিটি কোণ থেকে সন্ত্রাসবাদের স্বর্গগুলির মূলোচ্ছেদ করার কথা। বিশ্বের নানা জায়গায় ঘটা সবকটি জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে এক সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের যারা অর্থ জোগায়, লড়াই ছলবে তাদের বিরুদ্ধেও।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের বিভিন্ন চেহারা আছে, নামও আলাদা। মধ্য প্রাচ্যে যা দায়েশ ও আল কায়দা, দক্ষিণ এশিয়ায় তাই লস্কর ই তৈবা, জয়েশ ই মহম্মদ ও হাক্কানি নেটওয়ার্ক। আবার নাইজিরিয়ায় বোকো হারাম। কিন্তু আদর্শ এক।

জি ২০ দেশগুলির মধ্যে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নামের তালিকা বিনিময়েরও পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, ব্যবস্থা নেওয়া হোক তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধেও।

অপরাধী প্রত্যর্পণের মত আইনি প্রক্রিয়া সরল করার পক্ষেও মতপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন জি ২০ দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের নিয়ে একটি মেকানিজম তৈরি হোক যাতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইটা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

সাইবার নিরাপত্তার ওপরেও জোর দেওয়ার আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক রাষ্ট্রের থেকে অনেক বেশি জোরালো। কারণ রাষ্ট্রের ক্ষমতা তার গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তা দুর্বল।