ইসলামাবাদ: মেয়েকে খুন করেছে নিজের ছেলে। সেই ছেলের চোখে গুলি করতে হবে। বললেন নিহত পাকিস্তানি মডেল কান্দিল বালোচের বাবা আনোয়ার আজিম।


 

আজিম বলেছেন, আমি বলছি, ওকে সামনে পেলেই চোখে গুলি করে মারা উচিত। আমার আদরের মেয়েটাকে গলা টিপে মেরেছে ও। আমাদেরও ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়েছিল। ওপরতলায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আমরা। মেয়ে নিশ্চয়ই আমাদের ডাকাডাকি করেছিল।  কান্দিল তাঁর সবচেয়ে ‘ভাল বন্ধু’ ছিলেন বলে জানিয়েছেন আজিম।  কিন্তু ছেলে ওয়াসিমকে ‘উন্মাদ’ বলেছেন তিনি।

 

কান্দিলের মা-ও মেয়ে হারানোর যন্ত্রণায় কাঁদছেন। তাঁকে উদ্ধৃত করে বিবিসি উর্দু বলেছে, আমরা মা-মেয়েতে নিজেদের সব যন্ত্রণা, অনেক গোপন কথা ভাগ করে নিতাম। ও আমায় বলত—তোমার মেয়ে খুব খাটছে, অনেক দূর যাবে। কান্দিলকে  যে রাতে ওষুধ খাইয়ে আচ্ছন্ন করে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ওয়াসিম, সেদিন তাঁকে, তাঁর স্বামীকেও মাদক খাইয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনিও। কান্দিলের মা বলেছেন, আমার স্বামী, আমি গভীর ঘুমে ঢলে পড়ি। আমরা দুধ খেয়েছিলাম। তাতে ঘুম পাড়ানি ওযুধ মেশানো হয়েছিল। সকালে কান্দিলকে প্রাতরাশের জন্য ডাকি। কিন্তু ওর সাড়া পাইনি।

 

 

গত সপ্তাহে পুলিশ গ্রেফতার করে ওয়াসিমকে। সে পরিবারের ‘সম্মান’ রক্ষার জন্য পাক সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা ২৬ বছরের মডেল-অভিনেত্রী বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করার কথা কবুল করেছে। নিজেদের বাড়িতে বোনকে নিস্তেজ করে দিতে তাকে বড়ি খাইয়ে গলা টিপে মেরে ফেলেছে বলে জানায় সে। ফেসবুকে মৌলবী মুফতি কভির সঙ্গে  ছবি সহ সোস্যাল মিডিয়ায় বোনের সক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াসিম।