কলম্বো : ফের অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) পরিস্থিতি। পদত্যাগের দাবিতে রাষ্ট্রপতির বাসভবন ঘিরে বিক্ষোভ। গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ বাসভবন ছেড়ে পালালেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্যও। এই পরিস্থিতিতে সংসদে জরুরি অধিবেশন ডাকার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে।


শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠায় আতঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, দ্রুত যদি আর্থিক সাহায্যের হাত দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতি বাড়িয়ে দেওয়া না যায়, তাহলে তা গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পক্ষেই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।






অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ি বলেছেন, ' ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের দ্রুত পরিস্থিতি সামলাতে হস্তক্ষেপ করা উচিত। যেমন আর্থিক অবস্থায় শ্রীলঙ্কা যাচ্ছে, তাতে যদি সুদবিহীন অর্থ তাদের দেওয়া না হয়, তাহলে আরও সমস্যা বাড়বে। আর যত এরকম সমস্যা বাড়তে থাকবে ততই আইনের শাসন আলগা হয়ে সেখানে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে।'


প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কায় এই মুহূর্তে জ্বালানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, নেই খাবার, নেই ওষুধও। ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর্থিক বিপর্যয়ের ধাক্কায় সমস্যা পড়াশোনাতেও। বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল। প্রবল অর্থকষ্টে পড়েছে শ্রীলঙ্কা-জুড়ে থাকা থাকা একাধিক অনাথ আশ্রমও। কোথাও খাবার নেই, কোথাও আবার আধপেটা খেয়ে দিন কাটছে ওই শিশুদের। 


শ্রীলঙ্কার বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারও (Foreign Currency) কার্যত শেষ। নতুন করে কেউ ধার দিতে চাইছে না। ফলে জ্বালানি কিনতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। তার প্রভাবেই মুখ থুবড়ে পড়েছে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড। প্রধানমন্ত্রী বদল হলেও পরিস্থিতির বিশেষ বদল এখনও হয়নি। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংঘে শ্রীলঙ্কার সংসদে জানিয়েছেন আর্থিক সঙ্কটের পরিস্থিতি আগামী বছর পর্যন্ত জারি থাকবে।


আরও পড়ুন- ৫ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের দেওয়া যাবে কোর্বেভ্যাক্স এবং কোভ্যাকসিন, জানাল NTAGI প্যানেল