ওয়াশিংটন:  চিনে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়ে বড়সড় ঠোক্কর খেতে হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে। ২০১০-এর পর থেকে চিন সরকার সে দেশে সিআইএ-র চরবৃত্তির কাজ কড়া হাতে দমন করেছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০১০-র পরবর্তী দুই বছর কমকরে ১২ জনের বেশি সিআইএ সোর্সকে হয় হত্যা করা হয়েছে নতুবা জেলে ঢোকানো হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। প্রায় ১০ জন প্রাক্তন ও বর্তমান মার্কিন আধিকারিকের কথা উল্লেখ করেছে সংবাদপত্রটি। তাঁরা এই গোয়েন্দা বিপর্যয়কে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড়সড় ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই আধিকারিকা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।


মার্কিন গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক সংস্থাগুলির মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন চলছে। এই বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে অবশ্য দ্বিধাবিভক্ত সংশ্লিষ্ট মার্কিন দফতরগুলি।  গোয়েন্দাদের একাংশের ধারনা, সিআইএ-র মধ্যেই শ্রত্রপক্ষের চর ঢুকে পড়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, বিদেশী সোর্সগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার যে গোপন ব্যবস্থা রয়েছে সেখানেই সিঁধ কেটেছে চিন। সেই সিস্টেম হ্যাক করেছে তারা। কিন্তু চিনের হাতে চরদের এভাবে ধরা পড়ার কারণ নিয়ে তাঁরা সহমতে আসতে পারেননি।

সিআইএ সূত্রে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছ নিউইয়র্ক টাইমস ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চিনে এই বিপর্যয় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ায় বিপর্যয়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে সিআইএ ও এফবিআই-র দুই আধিকারিক বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। ওই দুই আধিকারিককে ১৯৯৪ ও ২০০১-এ গ্রেফতার করা হয়।

দুই পদস্থ প্রাক্তন মার্কিন আধিকারিককে উল্লেখ করে নিউইয়র্ক টাইসমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু বছরের সময়পর্বে সিআইএ-র ২০ জন সোর্সকে খুন বা জেলে ভরা হয়েছে।