ওয়াশিংটন: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলতি যুদ্ধের মধ্যে বড়সড় সিদ্ধান্ত আমেরিকার বিদেশ বিভাগের। বেলারুশে তাদের দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল রাশিয়া। সেইসঙ্গে অত্যাবশ্যক নয়, এমন কর্মীদের রাশিয়ায় দূতাবাস ছেড়ে আসার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বেলারুণে মিনস্কে দূতাবাসের কাজকর্ম স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এক বিবৃতিতে রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস থেকে অত্যাবশ্যক নয়, এমন কর্মীদের রাশিয়া ছাড়ার অনুমতিদানের কথাও জানিয়েছেন।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রুশ সামরিক বাহিনীর অহেতুক ও অন্যয্যভাবে ইউক্রেনে হামলার কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকালই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশের পরমাণু প্রতিরোধ বাহিনীর উদ্দেশে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। এতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্রমশই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে রাশিয়া। তাদের নিউক্লিয়ার স্কোয়াড যুদ্ধের মহড়াও শুরু করে দিয়েছে। রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গিয়েছে। রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের নিউক্লিয়ার ট্রায়াড প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অবহিতও করেছেন।
আজ পঞ্চম দিনে পড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। গত ২৪ ফেব্রায়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামির পুতিন সামরিক বাহিনীকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার পর এই নির্দেশ দেওয়ার পর যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
আর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এদিন বেলারুসে মুখোমুখি বসলেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে তৈরি হওয়া আর এক প্রজাতন্ত্র বেলারুসের প্রধান প্রশাসনিক অঞ্চল হোমেলে, বৈঠক করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে ইউক্রেনের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, রাশিয়াকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। যার প্রেক্ষিতে রুশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি জানিয়েছেন, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে যেভাবে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, সেদিক থেকে তারাও চাইছেন দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে।সূত্রের খবর, খুব শিগগিরই ফের শান্তি বৈঠকে বসতে পারেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।