ওয়াশিংটন: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে। ক্ষতি হচ্ছে রাশিয়ারও (russia)। কিন্তু শুধু রাশিয়া বা ইউক্রেন নয়, এই যুদ্ধে পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সারা বিশ্ব। একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করল আমেরিকার একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট (Center for Global Development)। তাদের দাবি, ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে বিশ্বের অন্তত ৪০ মিলিয়ন বাসিন্দা প্রবল দারিদ্র্যের (extreme poverty) মুখোমুখি হবেন। কিন্তু কেন?
মূলত খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এমন ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। গম বা এই ধরনের প্রধান খাদ্য়সামগ্রীর জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের উপর ভরসা করে একাধিক দেশ। যুদ্ধের ফলে মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে খাদ্য উৎপাদন। যার ফলে দাম বাড়ছে খাদ্যসামগ্রীর (food price hike)। যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার উপর একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। সেই কারণেই রাশিয়ার সঙ্গে রফতানি ও আমদানির কাজে প্রবল অসুবিধে হচ্ছে। যার ফলে খাদ্যের জোগান সংক্রান্ত সমস্যায় পড়ছে দেশগুলি। আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব ও পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ গমের (wheat) জন্য ইউক্রেনের উপর নির্ভরশীল। পৃথিবীর একাধিক দেশ কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত সারের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৭ ও ২০১০ সালের মতো ঘটনা ঘটতে চলেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছিল ২০০৭ সালে খাবারের মূল্যবৃদ্ধি ১৫৫ মিলিয়ন বাসিন্দাকে প্রবল দারিদ্রে ঠেলে দিয়েছিল। অন্য একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, ২০১০ সালের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন ৪৪ মিলিয়ন বাসিন্দা। প্রায় সেরকমই পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়েছে রিপোর্টে।
এই আশঙ্কা করেই বারবার যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানানো হয়েছিল রাশিয়াকে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয়নি এমন দেশগুলিও আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ থামানোর জন্য বারবার সওয়াল করছে। যদিও এখনও মেলেনি কোনও সমাধান।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেও নানা সমস্যা! উদ্বেগ আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নালের রিপোর্টে