কিভ: দফায় দফায় বৈঠক হলেও অধরা সমাধানসূত্র। তার মধ্যেই রাজধানী কিভ জনশূন্য (Kiev Population) হওয়ার পথে বলে এ বার দাবি করল ইউক্রেন সরকার (Russia Ukraine War)। তাদের দাবি, যুদ্ধ (Russia Ukraine War News) শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রাণ বাঁচাতে পালাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কিভের অর্ধেক জনসংখ্যাই পলাতক।


২০২১ সালে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রেটার কিভের জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ লক্ষ। এর মধ্য ২০ লক্ষ মানুষ গত দু’সপ্তাহে রাজধানী ছেড়েছেন বলে অভিযোগ। শহরের মেয়র ভিতালি ক্লিৎশ্চকো বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, সেই অনুযায়ী, কিভের জনসংখ্যার প্রতি দু’জনের মধ্যে এক জন পলাতক।’’


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুক্রবার ১৬তম দিনে পা রাখল। সমঝোতায় আসতে দু’পক্ষের মধ্যে ইতিমধ্যেই একাধিক বার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমাধানসূত্র বার করা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তারই মধ্যে উত্তর দিক থেকে রুশ সেনা কিভে প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ ইউক্রেন সরকারের। পূর্বের খারকিভ এবং দক্ষিণের মিকোলাইভেও দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে।





আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict Live Updates 11 March: মারিউপোলে মানব করিডরে রুশ হামলা, দাবি জেলেনস্কির


বুধবার কিভের পশ্চিমাংশের দু’টি হাসপাতালে রাশিয়া বোমাবর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, গত দু’সপ্তাহে ইউক্রেনে ১৮টি চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রে হামলার রিপোর্ট রয়েছে তাদের কাছে।


সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে উদ্ধারকার্য চলাকালীনও রাশিয়া আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। ওই মারিউপোলেই একটি প্রসূতি হাসপাতালে রুশ সেনা বোমা ফেলে বলে অভিযোগ তাদের। তাতে এক শিশু-সহ তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তা নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘‘রুশ যুক্তরাষ্ট্র কেমন দেশ যে হাসপাতালকেও ভয় পায়! প্রসূতি হাসপাতাল নিয়ে কী এমন ভয় যে ধ্বংস করে দিতে হচ্ছে?’’


এ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফেও কড়া নিন্দা করা হয়েছে রাশিয়ার। কিন্তু দেশের বিদেশমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের দাবি, ওই হাসপাতালটি ঢের আগেই দখল হয়ে গিয়েছিল। সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন দক্ষিণপন্থীরা। যদিও সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরায় স্ট্রেচারে শুইয়ে গর্ভবতী মহিলাদের উদ্ধারের ছবি ধরা পড়েছে।