কিভ:  না আছে লোকবল, না আছে আধুনিক সমরসজ্জা। যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সামনে নেহাতই চুনোপুঁটি তারা। কিন্তু গত ১০ দিনে তাবড় বোদ্ধারে হিসেব নিকেশ পাল্টে দিতে পেরেছে ইউক্রেন (Russia Ukraine War)। মাথা নত করা তো দূর, আঘাতের পাল্টা প্রত্যাঘাতে জবাব দিয়েছে তারা। গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনীর হাতে থাকা প্রচুর ট্যাঙ্ক। এমনকি প্রচুর রুশ সেনাও মারা পড়েছে তাদের হাতে। আমেরিকার পাঠানো ক্ষেপণাস্ত্রের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত না হলেও, আমেরিকা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করে বলে একাধিক বার অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। আমেরিকা এবং ন্যাটোর দখলদারি রুখতেই ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শহর, বন্দর থেকে পরমাণু কেন্দ্র, গত কয়েক দিনে ইউক্রেনে মুড়ি-মুড়কির মতো হামলার আঘাত নেমে এসেছে। কিন্তু রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে পাল্টা মারও খেতে হয়েছে তাদের।


এর নেপথ্যে আমেরিকার পাঠানো অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্রের (Javelin Missile) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মত যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম এবং কূটনীতিবিদদের। জ্যাভলিন একটি হালকা ওজনের ক্ষেপণাস্ত্র, কাঁধে বসিয়েই তাক করা যায় শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক, কামান এবং সাঁজোয়া গাড়িকে। মার্কিন স্পেশাল অপারেশনস-এর এক আধিরকারিক জানিয়েছেন, ওই জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র তেকে ৩০০ আঘাত হেনে কমপক্ষে রাশিয়ার ২৮০টি ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। ওই আধিকারিকের দাবি জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ৯৩ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে ইউক্রেন।


আরও পড়ুন: Russia Ukraine Conflict: 'যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই', রাশিয়ায় গণ ইস্তফা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের, অন এয়ারই চাকরি ছাড়লেন বহু


মার্কিন সংস্থা রেথইওন মিসাইলস অ্যান্ড ডিফেন্স এবং লকহিট মার্টিন যৌথ ভাবে এই জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, যা কি না আসল বর্শার মতোই উপর থেকে ছুটে এসে মাটিতে আঘাত করে। কাঁধের উপর রেখে একটু উঁচু করে তাক করতে হয়। সোজাসুজি রেখেও জ্যাভলিন থেকে আঘাত হানা সম্ভব।


২০১৮ সালে প্রথম ইউক্রেনকে জ্যাভলিন ক্ষেপণআস্ত্র সরবরাহ করে আমেরিকা। ইউক্রেনীয় সেনাকে তা ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। দোনবাসে রাশিয়ার টি-৭২ ট্যাঙ্ক গুঁড়িয়ে দিতে এই জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্রই ব্যবহার করে ইউক্রেন। মার্কিন সেনা সূত্রে খবর, এক জন জওয়ানই জ্যাভলিন বহন করতে, তা থেকে আঘাত হানতে পারেন। অতিরিক্ত টিউব থেকে হামলা চালাতে চাইলে সে ক্ষেত্রে সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।