নয়া দিল্লি: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দশম দিনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া। কিন্তু ৭ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইউক্রেনে ফের রুশ হামলা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে সূত্র। ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবর্ষণ হয়েছে। অন্যদিকে,  কিভে রুশ হামলায় ৬ জনের মৃত্যু, দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনে ঘরছাড়া এক লক্ষের বেশি মানুষ, জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাঁদের তরফে জানান হয়েছে, শতাব্দীর সবথেকে বড় শরণার্থী সঙ্কট। 


প্রসঙ্গত,  ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় ৭ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা। ইউক্রেন থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে বেরোনোর জন্য মাত্র ৭ ঘণ্টা সময় দিল রাশিয়া। মারিউপোল এবং ভলনোভাখা শহর দিয়ে হিউম্যান করিডোর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মারিউপোলে প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার এবং ভলনোভাখায় প্রায় ২১ হাজার মানুষ আটকে ছিলেন বলে খবর। এর আগে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি রুখতে গ্রিন করিডোর তৈরির প্রস্তাব দেয় ইউক্রেন। একমাত্র রাশিয়ার তরফে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলে তা সম্ভব বলে তারা জানায়। এরপরই ইউক্রেনের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। 


আরও পড়ুন, 'কোথাও যায়নি, কিভেই আছি' , রাশিয়ার দাবি উড়িয়ে ভিডিও বার্তা জেলেনস্কির


আপাতত স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বহাল থাকবে যুদ্ধবিরতি।  বেলা ১১টায় সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধারকার্য শুরু হবে বলে ঠিক হয়েছে। মারিউপোলে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার এবং ভলনোভাখায় ২১ হাজার মানুষ পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন। তাঁদের নিরাপদে বার করে আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।                                       


শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, "৫ মার্চ মস্কোর স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৫টায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। মারিউপুল, ভলনোভাখা থেকে নাগরিকরা যাতে নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারেন তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। বেরনোর জন্য সকলকে মানবিক করিডর গড়ে দেওয়া হবে।"


গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের মাটিকে বোড়ে বানিয়ে ন্যাটো এবং আমেরিকাকে কোনও ভাবেই রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে দেবেন না বলে জানান তিনি। সেই থেকে বিগত ১০ দিন ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে। তাতে এখনও পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা। অন্য দিকে, রাশিয়ার তরফেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল।