কিয়েভ:  সীমান্ত টপকে এগোতে এগোতে রুশ সেনা (Russia Ukraine War) চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে (Chernobyl Disaster) পৌঁছে গিয়েছে বলে এ বার দাবি করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। তাঁর দাবি, ১৯৮৬-র ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য জান লড়িয়ে দিচ্ছে তাঁর দেশের সেনা। কিন্তু রাশিয়া চেরনোবিলের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। শুধু ইউক্রেন নয়, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ গোটা ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণারই সমান বলে দাবি করলেন জেলেনস্কি।



বেলারুশের দিক থেকে ঢুকে রুশ সেনা চেরনোবিলে পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীর উপদেষ্টারও। কিয়েভের মেয়র জানিয়েছেন, শহরের চারটি মেট্রো সেন্টারকে আপাতত আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে বিমান হানা থেকে মানুষকে রক্ষা করা যায়। রুশ সেনা ডনেৎসকে একটি হাসপাতালে আক্রমণ করেছে বলেও দাবি ইউক্রেনের। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাদের।


আরও পড়ুন: Russia Ukraine Conflict: রুশ আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের লুগানস্কের দুটি শহরের আত্মসমর্পণ


পৃথিবীর ভয়ঙ্করতম পারমাণবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রস্থল চেরনোবিল। ১৯৮৬ সালের এপ্রিলে সেখানকার চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে সেখান থেকে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে, যা গ্রাস করে ফেলে দেড় লক্ষ বর্গ কিলোমিটারের বেশি অঞ্চলে। হিরোশিমা-নাগাসাকির তুলনায় চেরনোবিল থেকে ৫০০ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায় বলে জানা যায়।  রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ এমনকি চিন এবং আমেরিকাতেও তার প্রভাব টের পাওয়া গিয়েছিল।


ওই দুর্ঘটনার প্রভাবে উত্তর ইউরোপের বায়ুমণ্ডলে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। সুইডেনের পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, নিজেদের দেশেই কিছু ঘটেছে বলে প্রথমে ধারণা জন্মায় তাদের।  তাই তড়িঘড়ি সুইডেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে জানা যায় চেরনোবিলে বিপর্যয় ঘটেছে। 


তবে আজও চেরনোবিলের ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি পরিষ্কার করা যায়নি। এখনও সেখানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ রয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। সব কিছু পরিষ্কার করে ২০৬৫ সালের আগে সম্পূর্ণ ভাবে সেটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা সম্ভব নয় বলে দাবি তাঁদের।