কিয়েভে: সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ক্ষেপণাস্ত্রের আছড়ে পড়া চলছেই। তার মধ্যেই এ বার ১৪ জন যাত্রী সমেত ইউক্রেনীয় সেনার (Ukranian Military Plane Crash) একটি বিমান ভেঙে পড়ল। দেশের রাজধানী কিয়েভ থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিমানটি ভেঙে পড়েন। ঠিক কত জনের মৃত্যু হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তা পরিষ্কার নয়। তবে মাটিতে পড়ে থাকা বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং তা থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী বার হতে দেখে প্রমাদ গুনছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ জন। বিমানটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।



বিমান ভেঙে পড়ে নেওয়া এ দিন টুইট করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন মুখপাত্র ইউলিয়া মেন্দেল। তিনি লেখেন, 'ইউক্রেনীয় সেনার একটি বিমান কিয়েভের আকাশ থেকে ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবার তরফে বিমান ভেঙে পড়ার কথা জানানো হয়েছে। বিমানে ১৪ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। তাতে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।' বৃহস্পতিবার সারা দিনে রাশিয়া ইউক্রেনে ২০৩ বার আক্রমণ চালিয়েছে বলে দাবি সে দেশের সরকারের। দেশের বিভিন্ন শহরে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পূর্বের সুমি শহরে মুখোমুখই সংঘাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।


অন্য দিকে, সকাল থেকে রাশিয়ার (Russia Ukraine Crisis) ছ'টি বিমান গুবি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনও। লুহানস্ক শহরে ৫০ জুন রুশ দখলকারীকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করে তারা। বলা হয়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ ট্যাঙ্ক প্রবেশ করে। সেখান থেকেই ইউক্রেনের একাধিক শহরে ক্ষপণাস্ত্র ছোড়া হয়। তাতে সেনা-সহ ৪০ জন ইউক্রেনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে ১৮ জন ওদেশার বাসিন্দা। পাল্টা আক্রমণে ৫০ জন রুশ দখলকারী মারা গিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনার হাতে। ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলে তাদের তিন জন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু। 


আরও পড়ুন: Russia Ukraine Conflict: রুশ আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের লুগানস্কের দুটি শহরের আত্মসমর্পণ


রাশিয়া যদিও ইউক্রেনের দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। তাদের কোনও বিমান বা কামান ইউক্রেনীয় সেনা ধ্বংস করতে পারেনি বলে পাল্টা দাবি করেছে মস্কো। বরং ইউক্রেনের মাটিতে গড়ে ওঠা একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটি, আকাশ পথে হামলা চালানোর বিপুল অস্ত্রশস্ত্র এবং সরঞ্জাম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।