মস্কো:  একেই বলে বোধহয়- ‘দিব্যি ছিলেন খোশমেজাজে….. হঠাত্ গেলেন ক্ষেপে!’ অনলাইন গেম পোকেমন গো-তে মশগুল রাশিয়ার এক মহিলা বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাত্ই তাঁর মনে হল, একটা বড়সড় চেহারার পোকেমন বিছানায় উঠে তাঁকে ধর্ষণ করছে। ভয়ে আলো জ্বেলে আর পোকেমনটিকে দেখতে পাননি তিনি। এই আশ্চর্য অভিযোগ নিয়ে ওই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থও হলেন। পুলিশ কিংবা তাঁর স্বামীও ধর্ষণের তত্ত্ব মানতে চায়নি।ওই মহিলাকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে, পোকেমন ধর্ষণ করবে! এতো আজব কথা, কক্ষনো তা হয় না। কিন্তু ভবি ভোলবার নয়। মহিলার সাফ কথা, তাঁর ঘরে যে পোকেমন ছিল, তা তো তাঁর ফোনের অ্যাপ থেকেই পরিষ্কার। তাহলে অবিশ্বাস করার কী আছে!


ওই মহিলা তাঁর বন্ধু ইভান মাকারোভকে বলেছেন যে, তাঁর বাড়ির আশেপাশে প্রচুর পোকেমন রয়েছে। এমনকি, কুকুরগুলোও তা টের পায়। যখন তিনি পোকেমন গো খেলেন তখন কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করে। তাই ওই মহিলার দৃঢ় বিশ্বাস যে, একটা পোকেমন তাঁকে ধর্ষণ করেছে।

পুলিশের কাছে রীতিমতো অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁকে মানসিক চিকিত্সক দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পোকেমন গো নিয়ে সারা বিশ্বেই আলোড়ন পড়েছে। এই গেম খেলতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন। অগমেন্টেড রিয়েলিটি গেম কীভাবে কিছু খেলোয়াড়ের মানসিক জগতের ওপর প্রভাব ফেলেছে, তার একটা নমুনা রাশিয়ার মস্কোর বাসিন্দা এই মহিলা।