লাহোর: ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণার বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান। এবার মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদ ট্রাম্পের ঘোষণার বিরুদ্ধে মিছিলের নেতৃত্ব দিল। নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাত-উদ-দাওয়া প্রধানকে গত ২৪ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানে। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে গৃহবন্দি ছিল সে। মুক্তি পাওয়ার পর এদিন প্রথম প্রকাশ্যে এসেই সে শুক্রবারের প্রার্থনার পর লাহোরের চৌবুরজিতে জামাত দপ্তরের বাইরে মিছিল করে। মিছিলে আমেরিকা, ভারতের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে।
আমেরিকা আগেই তার মাথার ১ কোটি মার্কিন ডলার দাম ঘোষণা করেছে। সঈদ এদিন মিছিলে জানিয়েছে, ডিফেন্স কাউন্সিল পাকিস্তান মুসলিম দেশগুলিকে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে তাদের বোঝাবে, যাতে জেরুজালেমে দূতাবাস না খোলে তারা। ডিফেন্স কাউন্সিলের সক্রিয় সদস্য জামাত, যারা আসলে সঈদের নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রকাশ্য সংগঠন বলে মত পর্যবেক্ষকদের।
সঈদ সমাবেশে বলেছে, কোনও মুসলিম দেশ জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুললে তাকে যেন মুসলিম দুনিয়ায় কোথাও দূতাবাস খুলতে দেওয়া না হয়। মুসলিম দেশগুলিকে আমেরিকার বিরুদ্ধে একজোট হওয়া উচিত বলে অভিমত জানায় সে। বলেছে, আমরা লোকজন জড়ো করে আমেরিকার বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালাব।
সঈদের বক্তব্য, পাকিস্তান সরকারকে এখনই ট্রাম্পের ঘোষণার ব্যাপারে পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন ডেকে আলোচনা করে এ নিয়ে কৌশল ঠিক করতে হবে। পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র, অতএব তারই উচিত মুসলিম দুনিয়ার নেতৃত্ব দেওয়া। ইসলামি শীর্ষবৈঠক ডেকে ট্রাম্প প্রশাসনকে মুখের মতো জবাব দিক পাকিস্তান। গোটা বিশ্বের প্যালেস্তাইনের সঙ্গেই কাশ্মীর ইস্যু তোলার কথা বলেছে সঈদ।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার আমেরিকার বেশ কয়েক দশকের চিরাচরিত অবস্থান ছেড়ে জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী বলে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যার তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সারা দুনিয়ায়।