স্ন্যাপচ্যাটের সৌজন্যে প্রথম ভিডিওটি সামনে আসে। নাজাদ মরুভূমিতে কাছে একটি গ্রামে ঐতিহাসিক এক কেল্লার বাইরে মেয়েটিকে এই পোশাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের কয়েকটি রক্ষণশীল এলাকার মধ্যে এটি অন্যতম। এমনকি এই জায়গাতেই ওয়াহাবি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতার জন্ম। এছাড়া এই গ্রামেই সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি রক্ষণশীল উপজাতির বসবাস রয়েছে।
এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই মেয়েটির গ্রেফতারির দাবিতে, টুইটারে সোচ্চার হন নেটিজেনরা। নেটিজেনদের দাবি, এই মহিলা সৌদি আরবের নিয়মকে এভাবে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, কার্যত ইসলাম ধর্মের নির্দেশকেই অমান্য করেছে। প্রসঙ্গত, বিদেশীদের সৌদি আরবে গেলে শরীর ঢাকা পোশাক পরে বাইরে বেরোতে হয়। সৌদি মহিলাদের বোরখা পরে বেরোতে হয় বাইরে।
তবে ইদানিং সেখানে নিয়ম কানুন কিছুটা শিথিল করার নির্দেশ জারি হয়েছে। দেশের ৩১ বছর বয়সি শাসক প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন, দেশের যুব সম্প্রদায়কে কাছে টানার জন্যে বিনোদনকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। গত সপ্তাহেই সেদেশের সরকার ঘোষণা করে, মেয়েরা প্রকাশ্যে স্কুলে খেলতে পারবে। যোগ ব্যায়ামের ক্লাসে যেতে পারবে। কিন্তু সরকারের তরফে এই উদ্যোগের পরও, সেখানকার আমজনতা মনে মনে যে এখনও মারাত্মক রক্ষণশীল, সে প্রমাণই পাওয়া গেল টুইটারাইটদের এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া থেকে।