রিয়াধ: সৌদি আরবে মুণ্ডচ্ছেদ হল এক ইথিওপিয় মহিলার। জামজাম আবদুল্লা বোরিক নামে ওই মহিলা এক সৌদি শিশু খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সৌদি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই সৌদি বাচ্চা মেয়েটির গলা কেটে তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে বাথরুমে ফেলে রাখেন বোরিক। তবে এর পিছনে তাঁর কী উদ্দেশ্য ছিল, তা জানায়নি তারা। দোষী ঘোষিত মহিলা কী করতেন, সে ব্যাপারেও  কিছু জানা যায়নি।


তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে আসা লক্ষ লক্ষ বিদেশির মধ্যে ইথিওপিয়ার লোকজনও আছেন। এদের অনেকেই গৃহপরিচারকের পেশায় নিযুক্ত সৌদিতে।

কঠোর ইসলামিক বিধি মেনে চলা সৌদি আরবে খুন, মাদক চোরাপাচার, সশস্ত্র ডাকাতি, ধর্ষণ ও ধর্মদ্রোহিতার সাজা মৃত্যুদণ্ড। তরবারির কোপে সেখানে মুন্ডচ্ছেদ করা হয়।

চলতি বছরে এই নিয়ে ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল  সৌদি আরবে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা  অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ২০১৫ সালেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রয়োগ করে অন্তত ১৫৮ জনকে খতম করা হয়েছে সৌদি আরবে। যার ফলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় ইরান, পাকিস্তানের পরই তিন নম্বরে উঠে এসেছে তারা। যদিও অ্যামেনেস্টির তালিকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কাঠগড়ায় ওঠা চিনে কতজনের মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে, সেই তথ্য নেই।

সৌদিতে অধিকাংশ মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়েছে খুন, মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধে।তবে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার দায়ে গত জানুয়ারিতে একদিনে ৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।