পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ অবশ্য তাঁর বার্তায় বলেছেন, বুরহানের রক্ত, বলিদান কাশ্মীর উপত্যকায় স্বাধীনতার লড়াইয়ে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। কাশ্মীরের মানুষ তাঁদের আন্দোলনকে সঙ্গত পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবির সমর্থনে পাকিস্তানের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, নৈতিক সমর্থন চলবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এও বলেন, নির্মম বলপ্রয়োগ করে ভারত কাশ্মীরের মানুষের কন্ঠরোধ করতে পারবে না।
ভারত এতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। একজন সন্ত্রাসবাদীকে এভাবে পাকিস্তানের মহিমান্বিত করার বিরোধিতা করে বলেছে, পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে, তার পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তার একবাক্য়ে নিন্দা করা উচিত সকলের।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল ওয়াগলে বলেন, প্রথমে পাক বিদেশমন্ত্রকের অফিস লস্কর-ই-তৈবার বানিয়ে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়ল। আর এখন পাক সেনাপ্রধান বুরহান ওয়ানিকে মহান করে তুলল। পাকিস্তানের এমন সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়ার নিন্দা করুক সবাই।
গতকাল কাশ্মীর সংক্রান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জে গৃহীত প্রস্তাব কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন নওয়াজ। দাবি করেন, ভারত কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার মেনে নিক।
পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াও প্রশংসা করেন বুরহানের। পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর পাক সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে ট্যুইট করেন, ভারতের অত্যাচারের জবাবে বুরহান ওয়ানি ও অনেক প্রজন্মের আত্মত্যাগ ওদের শপথ, দৃঢ়তারই সাক্ষ্য বহন করে।