পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মুসাদিক মালিক জানিয়েছেন, ওই হাই প্রোফাইল বৈঠকের গোপন তথ্য বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার পিছনে তাঁর হাত ছিল বলে ‘প্রাথমিক প্রমাণ’ মিলেছে।
মালিক বলেছেন, ওই বিতর্কিত খবরের ব্যাপারে তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই মিডিয়াকে সব জানানো হবে। ডন-এর রিপোর্টারের হাতে বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ খবর কে তুলে দিয়েছিলেন, কে দায়ী, তা জানা যাবে। তবে সেনা-বিরোধী খবরটি রশিদের সম্মতি ছাড়া বাইরে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না বলে তদন্তে মত প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে রশিদের বিদায়ের খবর নিয়ে পাকিস্তানের বিরোধী নেতা ইমরান খানের প্রতিক্রিয়া, শরিফের এক ‘দরবারী’ গেলেন। শীঘ্রই বাকিদেরও বিদায় নেওয়ার পালা।
অন্যদিকে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ যখন ২ নভেম্বর শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামাবাদ অচল, অবরুদ্ধ করে দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, ঠিক তখনই সপরিবারে দুবাই রওনা হয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, যা নিয়ে তীব্র জল্পনা চলছে।
প্রসঙ্গত, দি ডন-এ জঙ্গিদের আইএসআইয়ের মদত দেওয়া নিয়ে সেনা-সরকার বিরোধের খবর বেরনোর পর রোষে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক সিরিল আলমেইদাকে। তাঁর নাম তোলা হয় একজিট কন্ট্রোল লিস্টে, যাতে তিনি দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন। এর তীব্র প্রতিবাদ, সমালোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়। পাশাপাশি দি ডন সংবাদপত্রও ৬ অক্টোবর প্রকাশিত আলমেইদার খবরটি সমর্থন করে জানিয়ে দেয়, তারা নানা ভাবে খবরটি খতিয়ে দেখে, তার সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েই সেটি ছেপেছে।
পরে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়ে সরকার।