একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আজহারের মতে, এখন যদি পাক প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তাহলে কাশ্মীর দখল করার এক ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’ হাতছাড়া হবে।
জয়েশের সাপ্তাহিক আল-কালাম পত্রিকার সম্পাদকীয়তে এই দাবি করেছে আজহার বলে দাবি করে ওই পত্রিকা। জানা গিয়েছে, ওই সম্পাদকীয়তে আজহার বলেছে, পাক সরকার যদি একটু সাহস দেখায় তাহলেই কাশ্মীর সমস্যা থেকে শুরু করে জলবণ্টন সমস্যা— সবকিছুই একেবারে সমাধান করা সম্ভব।
জঙ্গিনেতা আরও যোগ করে, অন্য কিছু না করতে পারলেও, সরকারের উচিত মুজাহিদদের জন্য পথ প্রশস্ত করা। তাহলেই, ১৯৭১ সালের পরাজয়ের তিক্ত স্মৃতিকে ২০১৬ সালে সাফল্যের উল্লাসে পরিণত করা সম্ভব হবে। মাসুদের মতে, একমাত্র জেহাদি কার্যকলাপ দিয়ে ভারতকে ভাঙা সম্ভব। তার হুমকি, রাস্তা খুলে দিক পাক সরকার, ঝাঁপিয়ে পড়ব ভারতের ওপর।
সম্পাদকীয়তে মাসুদ আজহার লেখে, এখন ভারত পাকিস্তানের ওপর চাপসৃষ্টি করছে। এখানে উল্টোটা হওয়া উচিত। তার দাবি, কাশ্মীরে যা হচ্ছে, তার ফলে পাক প্রশাসনের উচিত ছিল সার্ক বৈঠক বাতিল করা। তার আরও দাবি, ভারতের সামরিক শক্তির কঙ্কাল উরি ও পঠানকোটেই প্রকট হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাসুদের এই মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে যখন জঙ্গি সংগঠনগুলির পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে পাক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, পাকিস্তানের মাটি থেকে জঙ্গিদের ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের সহযোগিতাকে কেন্দ্র করে দ্বৈরথ ঘনীভূত হয়েছে। সেখানে উঠে আসে, যেহেতু পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ক্রমাগত মদত দিয়ে চলেছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না সেদেশের প্রশাসন।