করাচি: অতীতে হামলা, লুঠপাটে ভাঙচুর হওয়া কয়েকশ বছরের পুরোনো মন্দির, গির্জা ও গুরদ্বার সহ সংখ্যালঘু ধর্মস্থানগুলির নিরাপত্তায় সিসিটিভি বসাচ্ছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ প্রশাসন। এজন্য ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। মূলত সিসিটিভি ক্যামেরা কিনতেই খরচ হবে এই অর্থ। এর ফলে ধর্মস্থানগুলি অনেক বেশি মাত্রায় সুরক্ষিত থাকবে বলে সিন্ধুপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী খাতুমল জীবনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে পাক সংবাদপত্র ‘দি ডন’। তিনি বলেছেন, ধর্মস্থানগুলির আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে মাল্টিপল ভিডিও ক্যামেরা বসিয়ে সেখানকার নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করতেই এই প্রকল্প। সব ভিডিও ক্যামেরার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ধর্মস্থানের পিছনের সেন্ট্রাল রুমের সঙ্গে যোগ থাকবে। নজরদারির আওতার মধ্যে থাকা জায়গাগুলি থেকে দূরে থাকবে সেন্ট্রাল রুম। ভিডিও ক্যামেরায়  মনিটরিং, রেকর্ডিংয়ের যন্ত্রপাতিও থাকবে।


গত ২ বছরে লারকানা, হায়দরাবাদ ও আরও কয়েকটি জেলায় একাধিক মন্দিরে হামলার পর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো সংখ্যালঘু ধর্মস্থানগুলিকে পূর্ণ সুরক্ষা দিতেই এই প্রজেক্ট ঠিক করেন। সিন্ধ পুলিশ হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ১২৫৩টি ধর্মস্থানের তালিকা তৈরি করেছে। এগুলির মধ্যে আছে ৭০৩টি হিন্দু মন্দির, ৫২৩টি গির্জা। ধর্মস্থানগুলির নিরাপত্তায় ২৩১০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সরকারি কর্তারা মানছেন, সব জায়গায় সমান সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী দেওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি হিন্দু থাকেন সিন্ধেই। প্রায় ৯৩ শতাংশ। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার সাড়ে ৮ শতাংশ তারা।