বেজিং: সকালবেলা অ্যালার্মের আওয়াজে যা হোক করে বিছানা ছেড়ে সোজা বাথরুম। এরপর ঘুম চোখে ব্রাশ করা। আমরা বেশিরভাগেরই প্রায় এমন রুটিন। কিন্তু সেই ঘুম চোখে ব্রাশ করার অভ্যেস যে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে তা জানেন?
সম্প্রতি এক চিনা ভদ্রলোক এমনই অভূতপূর্ব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কঠিন গ্যাস্ট্রোস্কোপিক অপারেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। কারণ তাঁর পেট থেকে ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা টুথব্রাশ বের করতে হয়েছে। সেটি নাকি তিনি সকালে ঘুম চোখে ব্রাশ করতে গিয়ে গিলে ফেলেছিলেন!
প্লাস্টিকের ব্রাশ গিলে ফেলে হঠাৎ নিজেই বুঝতে পারেন কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ধীরে ধীরে শরীরে বাড়তে থাকে অস্বস্তি। প্রাণ বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গে নিজেই গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যান স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তৎক্ষণাৎ এক্স-রে স্ক্যান করেন এবং এমার্জেন্সি অপারেশনের ব্যবস্থা করেন।
প্লাস্টিকের ব্রাশ হওয়ায় তা বের করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ডাক্তারদেরও। গ্যাস্ট্রোস্কোপ দিয়ে ব্রাশের হাতল ধরতে যেতেই তা ফসকে চলে যায় বারবার। সেই কারণে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির চিকিৎসকেরা প্রথমে ব্রাশটিকে সঠিক জায়গায় এনে তারপর তার মুখের দিক থেকে ধরে বের করার চেষ্টা করেন।
তাইজৌ ফোর্থ পিপলস হসপিটালের ডাক্তারদের কথায়, ওই ভদ্রলোক প্রথমেই হাসপাতালে এসে একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনিতে কিছু আচমকা গিলে ফেললে যে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহৃত হয়, যেমন ভাত বা ভিনিগার গিলে নেওয়া, তাতে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসবের ফলে এসোফেগাসের ক্ষতি হতে পারে।
বেশ কিছুদিন আগে এমন আরও একটি আজব ঘটনা ঘটে। ম্যাসাচুসেটসের এক ৩৮ বছর বয়সী ভদ্রলোক ঘুমের ঘোরে তাঁর ওয়্যারলেস ইয়ারপড গিলে ফেলেন। সেক্ষেত্রেও এক লম্বা সময় ধরে অস্ত্রোপচার করে সেটি বের করতে হয়। ঘুম থেকে উঠে হঠাৎই তিনি আবিষ্কার করেন যে, তাঁর এক কানের ইয়ারপডটা নেই। প্রথমে বিশেষ পাত্তা দেননি, তবে বুকে সামান্য অস্বস্তি নিয়ে গোটা দিন কাটান। এরপর ধীরে ধীরে অস্বস্তি বাড়ে ও আরও নানা অস্বস্তি চোখে পড়ায় এক্স রে হয়। তখনই আসল ব্যাপারটা বোঝা যায়।