জোহানেসবার্গ (দক্ষিণ আফ্রিকা): প্রবল বন্যায় বিধস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। একদিনে বন্যা, অন্যদিকে ভূমিধস। জোড়া ফলায় তছনছ দক্ষিণ আফ্রিকার একাধিক শহর।


বন্যার জেরে প্রাণহানি:
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যা (floof) ও ভূমিধসে (land slide) মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশো ছুঁইছুঁই। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। বহু মানুষ নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা।


ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক শহর:
বন্যার জেরে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডারবান শহর। প্রবল ক্ষতির মুখে পূর্বপ্রান্তের কোয়াজুলু-নাটাল (KwaZulu-Natal) প্রদেশও।  বাড়িঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। ভেঙে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখনও পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ২ কোটি ৬ লক্ষ ডলার (US dollar)। 
কোয়াজুলু-নাটাল (KwaZulu-Natal) প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বিপুল অংশের বাসিন্দা জল ছাড়াই রয়েছেন ওই এলাকায়। চারদিন ধরে প্রবল বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ওই এলাকায়। খাবার ও পানীয়ও নেই ওই এলাকায়। বন্যায় আটকে পরা বাসিন্দারা সামান্য চিকিৎসা পরিষেবাটুকুও পাচ্ছেন না। একাধিক এলাকায় ধস নামার ফলে বহু এলাকায় বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ অবস্থা তথৈবচ। আপৎকালীন পরিষেবাও দেওয়া যাচ্ছে না অধিকাংশ এলাকায়। এখনও পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার বাসিন্দা বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যত ভারতীয় বংশোদ্ভুত রয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে থাকেন। সরকারের তরফে ত্রাণকাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ এলাকায় রাস্তা ও সেতু ভেঙে যাওয়ায় ত্রাণ পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা (Cyril Ramaphosa)। আটকে পড়া বাসিন্দাদের দ্রুত উদ্ধার করা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।


রয়েছে আরও বিপদ:
বন্যার জেরে ভেসে গিয়েছে নদী। তার ফলে একাধিক জনবসতি এলাকায় কুমির ঢুকে পড়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: পাল্টা আঘাত ইউক্রেনের, সলিলসমাধি রুশ যুদ্ধজাহাজের