কলকাতা: অস্থিরতা মাথাচাড়া দিতেই পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন। তা-ও জনরোষ থেকে রক্ষা পেলেন না শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Crisis) প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে (Ranil Wickremesinghe)। প্রেসিডেন্টের বাসভবনে আগেই ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ বার সরকারি বাসভবনে নয়, রনিলের নিজস্ব বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল । সোশ্যাল মিডিয়ায়, যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা গিয়েছে রনিলের বাড়িটিকে। তাঁর বাড়িতে ঢুকে একাধিক গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।


শ্রীলঙ্কায় এ বার প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব বাড়িতে আগুন


শনিবার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান রনিল। তবে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কিনা, রাত ৯টা পর্যন্ত তা স্পষ্ট হয়নি। বরং রনিলের ট্যুইটার হ্যান্ডলে পরিচয় হিসেবে এখনও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীই লেখা রয়েছে। তার মধ্যেই তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে আসে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের নিজস্ব বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়েছেন। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।’



আরও পড়ুন: Ranil Wickremesinghe Resigns: শ্রীলঙ্কায় এবার সর্বদলীয় সরকার! প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা রনিলের


চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। সরকারি কোষাগারে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রা শূন্যে গিয়ে ঠেকেছে। তার ফলে, খাবার, ওষুধ, জ্বালানি এবং শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের আমদানিতে ছেদ পড়েছে। খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে দেশজুড়ে। প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছেন।


এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার থেকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। তার জন্য দিন তিনেক আগেই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা সরকার। তার পরই নতুন করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। কাতারে কাতারে মানুষ এসে জড়ো হন রাজধানী কলম্বোয়।


হিংসাত্মক বিক্ষোভে ফের তপ্ত শ্রীলঙ্কা


শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ আরও চরমে ওঠে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবিতে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। ব্যারিকেড ভেঙে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়েন সকলে। বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে যদিও আগেই বাসভবন ছেড়ে সরে পড়েন রাজাপক্ষ। তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন দেশের সাংসদরাও। তার আগেই পদত্যাগ করছেন বলে ঘোষণা করেন রনিল।