নয়াদিল্লি: দীর্ঘ রক্তপাতের পর অবশেষে আশার আলো চোখে পড়ছে। কিন্তু ইউক্রেন জুড়ে পড়ে রয়েছে যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন (War Crime in Ukraine)। জায়গায় লাশের স্তূপ উঠে আসছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। সেই নিয়ে আরও বিপাকে পড়তে চলেছে রাশিয়া (Russia Ukraine War)। এক দিকে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞার বোঝা যেমন বাড়ছে, তেমনই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ (United Nations Human Rights Council) থেকে তাদের সদস্যতা বাতিল করার দাবি উঠল। আমেরিকা, ইউক্রেন-সহ একাধিক দেশ সেই দাবিতে সরব হয়েছে।


রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার তোড়জোড়


ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের অ্যান্টোনিও গুতেরাসের (Antonio Guterres) সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়েছে তার। রাশিয়া যুদ্ধাপরাধী। বুচায় গণহত্যা চালিয়েছে তারা। সেই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রমাণপত্র রাষ্ট্রপুঞ্জে তুলে ধরবে কিভ। এই হত্যালীলার পর মানবাধিকার পরিষদে রাশিয়ার থাকার কোনও অধিকারই নেই বলে দাবি কুলেবার।


আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War : কোথাও সাইকেলেই আটকে দেহ, কেউ দগ্ধ হয়েছেন গাড়ির সিটেই, গা শিউরে ওঠা চিত্র বুচায়


মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে বক্তৃতা করবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। নিরীহ মানুষের গণহত্যায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তাব রাখবেন তিনি।জেলেন্সকি বলেন, “আমরা চাই বিশদ এবং স্বচ্ছ তদন্ত হোক। যে রিপোর্টই উঠে আসুক না কেন, গোটা বিশ্বের কাছে তার কৈফেয়ত দিতে হবে (Bucha Massacre)।”


রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তুতি


রুশ সেনার হাত থেকে বুচা পুনর্দখল করার পর এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০০ নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তবে সংলগ্ন বোরোদিয়াঙ্কা শহরে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফেও সবরকমের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গুতারে জানিয়েছেন বুচার ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন বসানোর জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সেখানে তদন্তকারীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।


যদিও বুচায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রাস্তায় সারি সারি দেহ পড়ে থাকার যে দৃশ্য সামনে এসেছে, তা সাজানো বলে অভিযোগ করেছে তারা। ক্রেলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের দাবি, তথ্য এবং ঘটনাক্রমের সঙ্গে ইউক্রেনের দাবি একেবারেই মিলছে না। তাই সাত তাড়াতাড়ি রাশিয়াকে কাঠগড়ায় তোলার আগে, আন্তর্জাতিক মহলকে দু’পক্ষের দাবিকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।