প্রসঙ্গত, অসমের ভয়াবহ বন্যায় ভেসে গিয়েছিল দাঁতালটি। ব্রক্ষ্মপুত্র নদের জলের তোড়ে দেশের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে যায় সে। সেখানেই এক জলাভূমিতে আটকে পড়ে হাতিটি। এ ব্যাপারে সাহায্যের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতবর্ষ। তাকে উদ্ধারের জন্য যৌথভাবে অপারেশন চালায় ভারত ও বাংলাদেশ সরকার।
বন দফতরের আধিকারিক অসীম মল্লিক জানিয়েছেন, আজ বিকেলে জামালপুর জেলা থেকে পূর্ণবয়স্ক হাতিটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। বন দফতরের পশু-চিকিত্সক সঈদ হোসেন হাতিটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম গুলি ছোঁড়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হাতিটি। অচেতন হতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। বন দফতরের কর্মীরা এবং স্থানীয় গ্রামবাসী একসঙ্গে ৪ টনের হাতিটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে ওপরে তোলার চেষ্টা করে। পুরোপুরি সুস্থ হতে এখনও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে দাঁতালটির।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সম্ভব হলে হাতিটিকে দেশে ফেরানো হবে। নয়তো বাংলাদেশেই রেখে দেওয়া হবে। হাতিটিকে উদ্ধারের জন্য ৩ ভারতীয়র একটি বিশেষজ্ঞ দল ওই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এবারই প্রথম নয়, এর আগেও দুবার ২০০৪ ও ২০১৩ সালে দুটি হাতি বাংলাদেশে আটকে পড়ে। তারমধ্যে একটিকে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও অপরটিকে বাঁচানো যায়নি।