এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিডি নিউজ ২৪ ডট কম ঢাকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী প্রফেসর সোহেইল মাহমুদকে উদ্ধৃত করে বলেছে, এর আগে অটোপসি প্রক্রিয়ায় যুক্ত অফিসাররা নিহত জঙ্গিদের রক্ত, দাঁত, উরু থেকে মাংসের নমুনা নিয়ে গিয়েছেন। আইএস নাকি মাদক খাইয়ে জঙ্গিদের সুপার জঙ্গিতে পরিণত করে। সুতরাং ওই জঙ্গিদেরও মাদক খাইয়ে প্রভাবিত করা হয়েছিল কিনা, সেটা জানতে ওইসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আমরা ৫ মিলিলিটার রক্ত বের করেছিলাম ওদের দেহ থেকে। কিন্তু পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা ২০ মিলিলিটার রক্ত চাইছেন। চুল সহ আরও বেশ কিছু জিনিসের নমুনাও চাইছেন। সময় মতোই সেগুলি সংগ্রহ করা হবে।
তদন্তকারীদের পাশাপাশি সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আইএসের জঙ্গিরা সন্ত্রাসবাদী অভিযানের সময় দৈহিক শক্তি, ক্ষিপ্রতা বাড়ানোর জন্য ক্যাপ্টাগন নামে এক ধরনের বড়ি ব্যবহার করে। এর মধ্যে অ্যামফেটামাইন নামে বলবর্ধক এক ধরনের উপাদান থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ক্যাপ্টাগন খেলে নাকি দিনের পর দিন না ঘুমিয়ে থাকা যায়, এমনকী খিদেও পায় না! ঢাকার কাফের হামলাকারীদের বয়স ছিল কুড়ির কোঠায়। ১ জুলাইয়ের রাতে হামলায় শামিল ৬ জঙ্গিকে কয়েক ঘণ্টার গুলিযুদ্ধের পর পরদিন সকালে খতম করে কমান্ডোবাহিনী। তাদের দেহ রাখা রয়েছে ঢাকার কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে।