তাইপেই: লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানের আকাশ সীমা টপকে ঢুকে পড়ল চিনের যুদ্ধ বিমান। সঙ্গে সঙ্গেই তাইওয়ানের বায়ুসেনার বিমান চিনের ওই যুদ্ধবিমানকে এলাকা ছাড়া হতে বাধ্য করে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, চিনের একটি যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা চিহ্নিতকরণ অঞ্চলে অল্প সময়ের জন্য ঢুকে পড়ে। ওই সিঙ্গল জে-১০ যুদ্ধবিমানকে রেডিও বার্তার মাধ্যমে ফিরে যেতে সতর্ক করা হয়। এরপর আসরে নামে তাইওয়ানের বায়ুসেনার বিমান। তারা তাদের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ থেকে চিনের যুদ্ধ বিমানকে ফিরে যেতে বাধ্য করে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার এ ধরনের ঘটনা ঘটল।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ওই একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল বেশ কয়েকটি এসইউ-৩০ ফাইটার। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, যেগুলির মধ্যে কয়েকটি ছিল চিনের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তখনও বিমানগুলিকে ফিরে যেতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত শুক্রবারও চিনের সোভিয়েত জমানার ডিজাইনের চিনের ওয়াই-৮ প্রোপেলর বিমানকেও তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। ওয়াই-৮ কে এখন নজরদার বিমান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। পূর্ব উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার কথা তাইওয়ান জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই চিনের ওয়াই-৮ বিমানের তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে।
গণতান্ত্রিক দ্বীপ তাইওয়ানকে চিন তাদের বলেই দাবি করে। সেই তাইওয়ান দাবি করেছে, সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন সাম্প্রতিক মাসগুলিতে সামরিক কার্যকলাপ বাড়িয়ে দিয়েছে চিন। ভীতি প্রদর্শন করতেই চিনের এই তত্পরতা বলে অভিযোগ তাইওয়ানের।
তাইওয়ানের কাছে গত সপ্তাহে চিনের বায়ুসেনার কার্যকলাপ সম্পর্কে চিন প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এক্ষেত্রে বেজিং নিয়মিত যা বলে থাকে তা হল, এরমধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। এ ধরনের অনুশীলনের লক্ষ্য দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংকল্প প্রদর্শন।
তাইওয়ানকে বাগে আনতে শক্তির ব্যবহার না করার কথা চিন কখনও জানায়নি। বরং গত মাসেই চিনের এক পদস্থ জেনারেল বলেছিলেন যে, তাইওয়ানের স্বাধীন হওয়া বন্ধ করার কোনও উপায় না থাকলে চিন আক্রমণও চালাতে পারে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে যারপরনাই সন্দিহান চিন। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য বিচ্ছিন্নবাদী অভিপ্রায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের রয়েছে বলে অভিযোগ চিনের। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট অবশ্য বলেছেন, তাইওয়ান রিপাবলিক অফ চায়না নামে ইতিমধ্যেই স্বাধীন এক দেশ।
আমেরিকার এই দ্বীপের নিকটবর্তী অঞ্চলে সামরিক তত্পরতা জোরদার করেছে।