লন্ডন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়ে গিয়েছেন শুধু স্বরাষ্ট্রসচিব থেরেসা মে। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আন্দ্রিয়া লিডসম নিজেকে ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর থেরেসাই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। ব্রেক্সিট ভোটে পরাজয়ের দায়স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।


কোনওরকম ঝক্কি ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর আসন করায়ত্ত হতে চললেও লাস্ট ল্যাপে কিছুটা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির এই প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আন্দ্রিয়া লিডসম অদ্ভুতভাবে দাবি করেন, যেহেতু থেরেসার সন্তান নেই ও তাঁর আছে, তাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা তাঁর বেশি। স্বাভাবিকভাবেই এই মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন আন্দ্রিয়া, তারপর তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। এক বিবৃতিতে আন্দ্রিয়া জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী জমানায় ব্রিটিশদের পথ দেখানোর জন্য থেরেসাই উপযুক্ত ব্যক্তি। অর্থাৎ মার্গারেট থ্যাচারের পর থেরেসা প্রথম মহিলা, যিনি ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হতে চলেছেন।

সত্যিই, ব্রেক্সিট পরবর্তী অধ্যায়ে এখন এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে ব্রিটিশ রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী পদের মত বিরোধী দলনেতা পদটিও সম্ভবত নতুন মুখের হস্তগত হতে চলেছে। সোশালিস্ট নেতা জেরেমি করবিনের হাত থেকে বিরোধী লেবার পার্টির নেতৃত্বভার গ্রহণের চেষ্টা করছেন লেবার নেত্রী অ্যাঞ্জেলা ইগল।

২৩ জুনের গণভোটে ব্রিটিশদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার অনুরোধ করলেও ব্রেক্সিটপন্থীরা জিতে যাওয়ায় পরাজয়ের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন ডেভিড ক্যামেরন। বিভিন্ন নাম নিয়ে নাড়াচাড়া হওয়ার পর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উঠে এসেছে থেরেসা মে-র নাম। গণভোটের সময় ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করলেও থেরেসা জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে সুষ্ঠুভাবে বার করে আনাই তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য। ৯ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা হবে। তবে লড়াইয়ের এখনও যথেষ্ট সুযোগ থাকায় কনজারভেটিভরা পরে তাঁর বদলে অন্য কারও নাম ঘোষণা করবেন কিনা, সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে।