লন্ডন: হঠাত্ যদি যৌনপল্লীতে গিয়ে দেখেন রোবট-চালিত যৌনকর্মী ঘুরে বেড়াচ্ছে, সুন্দরী তরুণী বা যুবতীর বদলে তাহলে কেমন হবে ভাবুনতো! অন্তত বিশেষজ্ঞদের তেমনই মত। ২০৫০ সালের মধ্যে যেকোনও যৌনপল্লীতে মানুষ যৌনকর্মীর বদলে থাকবে রোবট-চালিত যৌনকর্মী।


প্রসঙ্গত, এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যেকোনও অপরাধের ঘাঁটি এই যৌনপল্লীগুলো। যৌনকর্মীদের নানা তথ্য দেওয়া-নেওয়া, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যৌনপল্লীকে সম্পূর্ণ অপরাধ-মুক্ত বানানোর পরিকল্পনা থেকেই এই রোবট-চালিত যৌনকর্মীর ভাবনা-চিন্তা।

তবে এই ধরনের গবেষণা প্রথম প্রয়োগ করা হবে বিশ্বের অন্যতম পরিচিত যৌনপল্লী বা অ্যামস্টারডামের রেড লাইট এলাকায়। ওয়েলিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিউচারোলজিস্ট ইয়ান ইয়েম্যান এবং সেক্সোলজিস্ট মিশেল মার্স অ্যামস্টারডামের অন্যতম জনপ্রিয় যৌনপল্লী ইয়াব-ইয়াম-এ গিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। ২০০৮ সালে এই যৌনপল্লী বন্ধ হয়ে যায়। আবার নতুন করে, আরও ঝকঝকে করে খুব শীঘ্রই খোলা হবে এই যৌনপল্লী।

ফিউচার নামের এক জার্নালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইয়াব-ইয়াম যখন খুলবে, তখন এখানে উন্নতমানের প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। ফর্সা এবং শ্যামবর্ণ দুধরনের যৌনকর্মীই থাকবে। তবে তাঁরা কেউই মানুষ হবে না, সবাই হবে রোবট-চালিত যৌনকর্মী। ওই এলাকার পরিষেবা উপভোগ করতে হলে খরচ করতে হবে দশ হাজার ডলার মতো।

ইয়াব-ইয়ামের ক্লাবে সবধরনে পরিষেবা পাওয়া যাবে, তবে সেখানকার সব কাজই হবে অ্যানড্রয়েডের ব্যবহারে। এরফলে যৌন সংক্রমিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ক্লাবে শ্বেতাঙ্গ বা কালো, রোগা, স্থূলকায়, স্বাস্থ্যবতী, বিভিন্ন বয়স এবং অনেক ভাষা জানা রোবট যৌনকর্মী পাওয়া যাবে। তবে যেহেতু মধ্য প্রাচ্যের ব্যবসায়ীদের বেশি পছন্দ লম্বা, ফর্সা, রাশিয়ান মহিলারা, তাই সেই আদলের রোবই পাওয়া যাবে বেশি।

তবে এপ্রসঙ্গে আরেকটি তথ্যও জানিয়েছেন গবেষকরা। রোবট-চালিত যৌনকর্মীরা এসে গেলে, মানুষ যৌনকর্মীর চাহিদা কমে যাবে। কারণ, তাঁরা খুব ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্যে যে টাকা দাবি করবেন, তার তুলনায় রোবট-চালিত যৌনকর্মীরা অনেক কম টাকায় ভাল পরিষেবা দেবে।