ওয়াশিংটন: যেসব জঙ্গি সংগঠন ভারতে হামলা চালাচ্ছে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তাদের পূর্ণ সহায়তা দিয়ে চলেছে। লক্ষ্য, ভারতে অস্থিরতা তৈরি, কাশ্মীর সমস্যার প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এমনটাই মনে করছে মার্কিন বিশেষজ্ঞ দল।


পাকিস্তানের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, সেই মর্মে একটি রিপোর্ট আগামী শুক্রবার প্রকাশ পেতে চলেছে। সেখানে সুপারিশ করা হয়েছে, ভারত ও আফগানিস্তানে ক্রমাগত সন্ত্রাস চালানোর জন্য ওয়াশিংটনের উচিত ইসলামাবাদকে ‘আর্থিক দায়’ পালনে বাধ্য করা।


একইসঙ্গে, ১০টি মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক দিয়ে গঠিত ওই উচ্চপর্যায়ের কমিটির রিপোর্টে এ-ও সুপারিশ করা হয়েছে, যে ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত এমন নীতি প্রণয়ন করা, যাতে ‘বিদেশনীতির অঙ্গ’ হিসেবে পাকিস্তান আর সন্ত্রাসকে হাতিয়ার না করতে পারে।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিজেদের ভূখণ্ডে গজিয়ে ওঠা বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে চলেছে পাকিস্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা জেনেও চুপ করে থেকেছে।


এই প্রেক্ষিতে ৯/১১ হামলা ও ২০০১-০২ সালে ভারত-পাকিস্তান সেনা অস্থিরতার পর পাকিস্তানের মহা-শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর এই ‘মৌলবাদী কার্যকলাপ’ রোখার সুযোগ হাতছাড়া করেছে আমেরিকা।


রিপোর্টটির সহ-রচয়িতা হলেন হুসেন হক্কানি, যিনি অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে – পাকিস্তান বরাবরই ভারতকে ‘হুমকি’ হিসেবে দেখে। অথচ, ভারতকে ঘিরে পাকিস্তানের এই ভীতির পুরোটাই ভিত্তিহীন!


রিপোর্টে এ-ও বলা হয়, ভারতের এই ভীতির জন্য পাকিস্তান প্রতিনিয়ত নিজের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে। বাড়িয়ে চলেছে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকাও। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করেও, চাপসৃষ্টি করা উচিত আমেরিকার। এর জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের একটি নতুন নীতি প্রণয়ন করা হোক।