ওয়াশিংটন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বার্তা ট্রাম্প প্রশাসনের। মার্কিন বিদেশ দপ্তর কংগ্রেসকে পাঠানো বার্ষিক বাজেট প্রস্তাবে ২০১৬-র তুলনায় বরাদ্দ ব্যাপক ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা পাকিস্তানকে এবার ৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছে। এর মধ্যে আছে বিদেশি সামরিক তহবিল বাবদ ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা সামরিক যন্ত্রাংশ বিক্রির পিছনে খরচ হয়।


কিন্তু গত বছর পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তার জন্য মার্কিন বিদেশ দপ্তরের বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার মধ্যে ধরা ছিল বিদেশি সামরিক তহবিল বাবদ ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাত গত বছরের তুলনায় পাকিস্তানকে বরাদ্দ ছাঁটা হতে পারে ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭-র অর্থবর্ষের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।

বিদেশ দপ্তর অবশ্য মার্কিন কংগ্রেসকে পাঠানো প্রস্তাবে বলেছে, পাকিস্তান আমেরিকার সন্ত্রাস দমন কৌশল, আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া, পরমাণু প্রসার রোধের উদ্যোগ, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় স্থিতিশীলতা ও আর্থিক সংহতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া পাকিস্তানের অর্থনীতিও আয়তনে বড়, ক্রমবর্ধমান যা মার্কিন ব্যবসা, বাণিজ্যের মুনাফার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, বিদেশ দপ্তর সচল কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখবে যা অনেক পাক-মার্কিন যৌথ কর্মসূচিতে লাগাতার সহযোগিতা বহাল রাখায় সাহায্য করবে, কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশটিতে স্থিতিশীলতাও জোরদার করবে।

প্রসঙ্গত, মার্কিন বিদেশ দপ্তর থেকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানে সাহায্যের পিছনে খরচের অর্থও প্রতি বছর পেন্টাগন থেকে পায় পাকিস্তান। আফগানিস্তানের পর পাকিস্তানই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্কিন আর্থিক সহায়তা পায়।
এবার মার্কিন বিদেশ দপ্তর দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, আরও বেশি নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করতে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।