ওয়াশিংটন: আমেরিকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় করোনা পরীক্ষার তুলনা ভারত, চিনের মতো অন্যান্য দেশের সঙ্গে করলেন। তাঁর দাবি, বেশি সংখ্যায় পরীক্ষা হলে ভারত ও চিনের মতো দেশগুলিতে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা আমেরিকার চেয়ে বেশি হবে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমেরিকায় দুই কোটি পরীক্ষা হয়েছে। আমেরিকার তুলনায় জার্মানি ৪০ লক্ষ ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় ৩০ লক্ষ পরীক্ষা করিয়েছে।


উল্লেখ্য, আমেরিকায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১৯ লক্ষেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার। আর ভারতের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২.৩৬ লক্ষ ও চিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪,১৭৭। সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে দাপট দেখা গিয়েছে আমেরিকায়।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ পরীক্ষা হয়েছে।  আমেরিকায় করোনা পরীক্ষার ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন যে, মনে রাখতে হবে যে, বেশি পরীক্ষা করলে বেশি সংক্রমণের হদিশ মিলবে।

ট্রাম্প বলেছেন,  আমেরিকায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেশি হচ্ছে। কারণ, এখানে পরীক্ষা বেশি হচ্ছে।  তিনি বলেছেন, যদি ভারত ও চিন ও অন্যান্য দেশে পরীক্ষা করা হলে আমেরিকার চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হবে।  পরীক্ষা করানোর ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণেই আমেরিকায় সবকিছু আবার খুলছে এবং অর্থব্যবস্থা ফের তার পথে ফিরছে। এমনটা কেউ ভাবতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

মাসিক রোজগারের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তেমন খারাপ অবস্থা আমরা হতে দিইনি। আমেরিকার ইতিহাসে মাসিক কর্মসংস্থানে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। আমার মনে হয়, সবচেয়ে বেশি যে সংখ্যা ছিল, তার প্রায় দ্বিগুণ এখন হচ্ছে।

ট্রাম্প বলেছেন, এজন্য আমেরিকায় ইতিহাসে মাসিক কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি খুব ভালো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয়বার  ভোটে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছেন ট্রাম্প। এবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন।  প্রাক নির্বাচনী অধিকাংশ সমীক্ষায় বিডেন ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

ট্রাম্প বলেছেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। কারণ ভুল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বলে তিনি কর বাড়াতে পারেন এবং সীমান্ত খুলে দিতে পারেন। এতে বাইরের সবাই দেশে ঢুকে পড়বে। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই চালাচ্ছে আমেরিকা। এই ভাইরাস চিন থেকে এসেছে। চিনেই এই ভাইরাসকে রুখে দেওয়া যেত। কিন্তু চিন তা করেনি।