ঢাকা : বাংলাদেশে নতুন করে হিংসার আগুন ছড়াল। মৃত দুই। এর জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ছয়। শনিবার এমনই জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ। ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হামলাকারীরা একটি পুlজোমণ্ডপে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। উৎসবের আবহে নোয়াখালির বেগমগঞ্জ উপজেলায় একটি ধর্মীয়স্থানে চলে হামলা।


তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন অতিরিক্ত জেলাশাসক মহম্মদ তারিকুল ইসলাম। একথা জানিয়েছেন নোয়াখালি জেলার ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ খুরশেদ আলম খান। আগামী সাতদিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে কমিটিকে। প্রসঙ্গত, শনিবার সকালের দিকে চৌমুহানিতে একটি ধর্মীয়স্থানের কাছে থাকা পুকুর সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রান্ত চন্দ্র নমোদাস নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। ওই এলাকায় স্থানীয়রা বিভিন্ন ধর্মীয়স্থানে হামলা চালায়। যার জেরে আরও একজনের মৃত্যু হয়, জখম হন ৩০ জন।


এদিকে এরই মধ্যে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হিংসার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করা হবে। আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। সব ধর্মের মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ধর্মীয় আচার পালন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করবে সরকার।


সম্প্রতি দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে উত্তেজনার পরিস্থিতি সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। প্রত্যেকে যার যার নিজস্ব ধর্ম, স্বাধীনভাবে আনন্দের সঙ্গে পালন করবেন বাংলাদেশে। কিছু দুষ্টচক্র দেশের এই নীতিকে নষ্ট করার চক্রান্ত করে। শক্ত হাতে সরকার তা দমন করবে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। অন্যদিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি শুক্রবার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় জমায়েতের উপর হামলার কিছু খবর আমরা পেয়েছি। বাংলাদেশ সরকার কঠোরভাবে পদক্ষেপ করছে। দুর্গাপুজো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতীয় হাই কমিশন বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেছে। 


এপ্রসঙ্গে হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নোয়াখালির ইস্কন কর্তৃপক্ষের তরফেও হামলার অভিযোগ এনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিরাপত্তার আর্জি জানানো হয়েছে।