নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সর্বশেষ তালিকায় পাকিস্তানের ১৩৯টি সংগঠনের নাম উঠল, যাতে রয়েছে ওসামা বিন লাদেনের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী আয়মান আল জওয়াহিরি, দাউদ ইব্রাহিম, মুম্বই সন্ত্রাসের মাথা হাফিজ সঈদের লস্কর-ই-তৈবার মতো নানা গোষ্ঠী।

ডন নিউজের প্রতিবেদনে প্রকাশ, তালিকার শীর্ষে রয়েছে জওয়াহিরি। বলা হয়েছে, জওয়াহিরি এখনও আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কোথাও গা ঢাকা দিয়ে আছে, তার একাধিক সঙ্গীও, যারা তালিকায় রয়েছে, তার সঙ্গেই রয়েছে।
লিস্টে সেইসব লোকজন আছে যারা পাকিস্তানে বসবাস করেছে, সেখান থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়েছে বা পাকিস্তানের মাটিকে অন্যত্র সন্ত্রাস ছড়ানোয় ব্যবহার করা সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ব্যক্তি হিসাবে নাম রয়েছে সঈদের, যাকে সন্ত্রাসবাদী কাজে জড়িত থাকায় ইন্টারপোল খুঁজছে।

তালিকায় দাউদের নাম জ্বলজ্বল করছে, যে নিরাপত্তা পরিষদের বক্তব্য অনুসারে একাধিক পাকিস্তানি পাসপোর্টের অধিকারী, যেগুলি ইস্যু হয়েছে রাওয়ালপিন্ডি, করাচিতে। রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি, করাচির নূরাবাদে পাহাড়ি এলাকায় প্রাসাদোপম বাংলো আছে দাউদের। ১৯৯৩ সালে মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার মস্তিষ্ক ও তোলাবাজি, ম্যাচ গড়াপেটার মতো অপরাধে অভিযুক্ত দাউদকে ভারত হাতে পেতে চায়। বলা হয়েছে, ব্রিটেনের মিডল্যান্ডস, দক্ষিণ-পূর্বের পাশাপাশি ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মরক্কো, স্পেন, তুরস্ক, সাইপ্রাস, অস্ট্রেলিয়াতেও বিশাল সম্পত্তি আছে তার।

তালিকায় রয়েছে লস্করের হয়ে মিডিয়ার সঙ্গে যোগসূত্র রাখা হাজি মহম্মদ ইয়াহিয়া মুজাহিদ, হাফিজ সঈদের সহযোগী আবদুল সালাম ও জাফর ইকবালও। হাফিজের মতোই তারাও ইন্টারপোলের কাছে ওয়ান্টেড।
লস্করের সঙ্গে তার বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনও তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। যেমন আল মনসুরিয়ান, পাসবান-ই-কাশ্মীর, পাসবান-ই-আহলে হাদিথ, জামাত উদ দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন।

তালিকায় দু নম্বরে আছে আরেক আন্তর্জাতিক পরিচিতি পাওয়া সন্ত্রাসবাদী রামজি মহম্মদ বিন আল-সেইবাহ। সে ইয়েমেনের নাগরিক। করাচিতে গ্রেফতারির পর তাকে তুলে দেওয়া হয় আমেরিকার হাতে।

পাকিস্তানে গ্রেফতার করে মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া আরও এক ডজনের বেশি সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীর নামও রয়েছে তালিকায়। এরা পাকিস্তানি পাসপোর্টের মালিক।