বেজিং: লাদাখে পাংগং লেকের পাড় বরাবর ভারতীয় ভূখণ্ডে পিএলএ সেনা জওয়ানদের ঢুকে পড়ার খবর জানা নেই। বললেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চ্যুনিং।

গতকাল লাদাখে ভারতের মাটিতে চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী জওয়ানরা রুখে দেন। পাল্টা চিনা বাহিনী তাদের টার্গেট করে পাথর ছোঁড়ে। জবাব দেন এ দেশের জওয়ানরাও। দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন আঘাত পান এতে।

এ নিয়ে চ্যুনিংয়ের প্রতিক্রিয়া, এমন কথা আমার জানা নেই। তবে এটা বলতে পারি, ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখায় চিনা সীমান্তরক্ষী বাহিনী সবসময় দায়বদ্ধ। আমরা সর্বদা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা এলাকার মধ্যেই টহল দিই। ভারতীয় পক্ষকেও অনুরোধ, তারা যাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও দু দেশের মধ্যে চালু থাকা প্রাসঙ্গিক রীতি-নিয়ম মেনে চলে।

অতীতেও যখনই এ ধরনের অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল, চিন সবসময় বলেছে, তাদের সেনারা সীমান্তে চিনা ভূখণ্ডের ভিতরেই ছিল। চিনের বক্তব্য, দু দেশই সীমান্ত বিরোধ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে, সীমান্তরেখা এখনও স্পষ্ট চিহ্নিত হয়নি।

প্রসঙ্গত, চিন ও ভারতের বিশেষ প্রতিনিধিরা এপর্যন্ত সীমান্ত সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে ১৯ দফা আলোচনা করেছেন।

সিকিমের ডোকালাম ঘিরে দু দেশের চলতি বিরোধ নিরসনে কোনও অগ্রগতি হয়েছে কিনা, জানতে চাওয়া হলে চিনা মুখপাত্রটি নিজেদের ঘোষিত বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে দাবি করেন, ভারতীয় সেনাই চিনের জমিতে বেআইনিভাবে পা রেখেছে, আগে তাদের নিঃশর্তে সেখান থেকে সরে যেতে হবে।

দু দেশের কোনও অর্থবহ আলোচনার প্রাক-শর্ত এটাই, বলেন তিনি।

যদিও এ ব্যাপারে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা বহাল থাকার কথা স্বীকার করেছে চিন।

নয়াদিল্লির খবর, গতকালের ঘটনার প্রেক্ষাপটে আজ লে-র চুসুল এলাকায় আলোচনায় বসেছেন ভারত, চিনের সেনা অফিসাররা। লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে কী করে শান্তি, স্থিতাবস্থা রক্ষা করা যায়, সে ব্যাপারেই কথা বলছেন তাঁরা।

গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে দু বার ফিঙ্গার ফোর ও ফিঙ্গার ফাইভ এলাকায় চিনা বাহিনীর জওয়ানরা ভারতে ঢুকতে যায়। তবে দুবারই তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।