ওয়াশিংটন: এফ ১৬ কিনতে হলে জাতীয় তহবিল খরচ করতে তৈরি হোক পাকিস্তানে। জঙ্গিবিমান কিনতে কোনও ভর্তুকি পাবে না তারা। এমনই কড়া ভাষায় পাকিস্তানের এফ ১৬ যুদ্ধ বিমান কেনার চেষ্টায় শর্ত চাপাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


এই হুঁশিয়ারির পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের এফ ১৬ বিমান দিতে না পারে, তাহলে অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে এই বিমান কেনা হবে। ভারতের সামরিক শক্তি বেড়ে যাওয়া নিয়েও আপত্তির কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে সতর্ক করে দিয়ে নিজেদের কৌশলগত শক্তি বাড়ানোর কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা।

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, মার্কিন কংগ্রেস পাকিস্তানকে ৮টি এফ ১৬ বিক্রির সিদ্ধান্তে সবুজ সঙ্কেত দিলেও বেঁকে বসেছেন কয়েকজন মুখ্য সেনেটর। ওবামা প্রশাসন ঠিক করেছিল অপেক্ষাকৃত সস্তায় পাকিস্তানকে ওই বিমান বেচবে তারা। কিন্তু সেনেটরদের বক্তব্য, জঙ্গি দমনে পাকিস্তান যুদ্ধবিমান কেনার অজুহাত দিলেও আদতে তাদের উদ্দেশ্য কতটা সৎ তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মার্কিন করদাতাদের টাকায় পাকিস্তানকে যুদ্ধবিমান কেনার সুযোগ দেওয়া হবে কেন?

এরপরেই মার্কিন বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, সস্তায় কিছু হবে না, এফ ১৬ কিনতে হলে ইসলামাবাদকে পুরো টাকাই দিতে হবে। এই মাসের মধ্যেই পাকিস্তানকে জানাতে হবে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে তারা ওই বিমান কিনতে রাজি কিনা, টালবাহানা করলে এফ ১৬-র দাম আরও বেড়ে যাবে। তবে জানা যাচ্ছে, পুরো টাকায় এফ ১৬ কিনতে পাক প্রশাসনের আপত্তি রয়েছে, ফলে বাতিল হয়ে যেতে পারে চুক্তি।

যদিও পাকিস্তান তাতে দমতে নারাজ। সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সরতাজ আজিজ বলেছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে এফ ১৬ অত্যন্ত কার্যকরী বিমান। তবে প্রয়োজনে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জে এফ ১৭ থান্ডার জেটও ব্যবহার করা যেতে পারে।