কাবুল: নতুন তালিবান সরকারকে এখনই স্বীকৃতি নয় বলে জানিয়ে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিক বৈঠকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, আগে ওদের অনেক কিছু প্রমাণ করে দেখাতে হবে। আপাতত যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে আটকে থাকা বৈধ মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফেরানোটাই সবথেকে জরুরি।
আটকে থাকা বাকি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে তালিবানের সঙ্গে কথা চলছে মার্কিন প্রশাসনের। বিশ্বের কাছে তালিবানরা সম্মান অর্জন করেছে বলে মনে করেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট, প্রশাসন অথবা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
এই তদারকি সরকারে রয়েছে জেলখাটা চার তালিবানও। ফলে ওই প্রশাসনকে আমরা কোনও স্বীকৃতি দিচ্ছি না। তালিবান সরকারকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল হোয়াইট হাউস।
তবে, আমেরিকার উল্টো পথে হেঁটে আফগানিস্তানের নতুন তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল চিন। তিন সপ্তাহের নৈরাজ্যের অবসানের পর নতুন সরকারকে স্বাগত, ঘোষণা বেজিংয়ের।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না চিন। আফগানিস্তানের সঙ্গে স্থিতিশীল বিদেশ নীতি চায় বেজিং, বার্তা চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনের।
আজ সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ব্রিকস-ভুক্ত দেশগুলির ভার্চুয়াল বৈঠক। যোগ দেবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিকস-বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কথা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা নিয়েও।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ব্রিকস সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন নরেন্দ্র মোদি। আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।
গত ৭ তারিখ, হাক্কানি গোষ্ঠীকে গুরুত্ব দিয়েই নতুন মন্ত্রিসভা তৈরি করে তালিবান সরকার। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে কট্টর ভারত বিরোধী বলে পরিচিত হাক্কানি গোষ্ঠীর প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি।
পাশাপাশি আরও হাক্কানি নেটওয়ার্কের আরও ৩ জন ঠাঁই পেয়েছে মন্ত্রিসভায়। প্রধানমন্ত্রী হন মোল্লা হাসান আখুন্দ। উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল গনি বরাদর।
এদিকে, দেশবাসীকে বিপদের মুখে ফেলে পালিয়েছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ নিয়ে ক্ষমা চেয়ে সাফাই দিলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি।
ট্যুইটারে বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তান ছেড়ে আসা তাঁর জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। প্রাণহানি আর রক্তক্ষয় এড়াতে, কাবুলকে বাঁচাতেই তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পাশাপাশি, প্রচুর টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর অভিযোগও অস্বীকার করেন আশরফ গনি। রাজধানী কাবুল তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পরেই ক্ষমতা হস্তান্তর করে আফগানিস্তান ছাড়েন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।আশ্রয় নেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে।