দুধ শেষ করেনি। এই অভিযোগে সপ্তাহদুয়েক আগে রাত তিনটের সময় ৩ বছরের শেরিনকে তার পালক পিতা বাড়ি থেকে বার করে দেন। বাড়ির পিছনে তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে। তার পালক পিতা ওয়েসলি ম্যাথিউজের দাবি, ১৫ মিনিট পর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আর শেরিনকে দেখতে পাননি তিনি। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে।
একটা চোখে ভাল দেখতে পেত না শেরিন। কথা বলাতেও সমস্যা ছিল। দেড় বছর বয়সে এই মেয়েটিকে পরিত্যাগ করে রাস্তায় ফেলে যান আপন বাবা মা। বড় হচ্ছিল অনাথ আশ্রমে। সেখান থেকে তাকে দত্তক নিয়ে আমেরিকার ডালাসের রিচার্ডসনে নিয়ে আসেন আদতে কেরলের বাসিন্দা ম্যাথিউজ দম্পতি।
রিচার্ডসন পুলিশ জানিয়েছে, ম্যাথিউজদের বাড়ি থেকে আধ মাইলের মত দূরে, রাস্তার নীচে একটি খাঁড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই শিশুকন্যার দেহ। তাদের ধারণা, দেহটি শেরিনেরই। তবে এখনও তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তল্লাশি অভিযানের অংশ হিসেবে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কীভাবে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি তারা।
শেরিনের পালক বাবা ওয়েসলিকে বাচ্চাকে পরিত্যাগ করা ও বিপদে ফেলার দায়ে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ২৫০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জামিন পেয়ে যান তিনি। ওয়েসলি স্বীকার করেছেন, তিনি জানতেন, ওই এলাকায় কয়োটে নামে এক ধরনের হিংস্র বুনো কুকুর ঘোরে। তারপরেও কেন তিনি ছোট্ট মেয়েটিকে গভীর রাতে একা ছেড়ে এলেন তা পরিষ্কার নয়। তা ছাড়া ১৫ মিনিট পর বাইরে গিয়ে শেরিনের দেখা না পেয়েও খোঁজাখুঁজি করেননি তিনি। বরং ঘরে ফিরে লন্ড্রি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ধারণা ছিল, মেয়ে নাকি নিজেই ফিরবে। হারিয়ে যাওয়ার পর ৫ ঘণ্টা কেটে গেলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।