রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬-তে চিনের সামরিক বাহিনীর বিস্তার ক্রমেই বেড়েছে। বিপুল পরিমাণ প্রতিরক্ষা বরাদ্দের হাত ধরেই তা সম্ভব হচ্ছে। পেন্টাগনের হিসেব অনুযায়ী, চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট ১৮০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। চিনের সরকারিভাবে ঘোষিত বরাদ্দের তুলনায় তা অনেক বেশি বলেই মন্তব্য করা হয়েছে রিপোর্টে।
রিপোর্টে ডিজিবুটিতে চিনের নৌসেনা ঘাঁটি গড়ে তোলার প্রসঙ্গ উত্থাপণ করে বলা হয়েছে, যে দেশগুলির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও সাধারণ রনকৌশলগত স্বার্থ রয়েছে সেই দেশগুলিতে অতিরিক্ত আরও কিছু ঘাঁটি গড়েতে পারে বেজিং। উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তানের কথা বলা হয়েছে সেনেটের বার্ষিক রিপোর্টে। অতীতেও পাকিস্তানে বিদেশী সামরিক ঘাঁটি গড়ে ওঠার নজির রয়েছে।
উল্লেখ্য, রণকৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানের গদ্বর বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে চিন। আমেরিকার বহু সামরিক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, এর পিছনে রয়েছে ওই বন্দরে চিনের সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার উদ্দেশ্য।
পেন্টাগনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের অস্ত্র রফতানির প্রাথমিক বাজার হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, সামরিক কৌশলগত দিক থেকে ডিজিবুটির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দেশে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলার কাজ ২০১৬-তে শুরু করেছিল চিন। কয়েক বছরের মধ্যেই তা সম্পূর্ণ হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর অভিযানে অংশগ্রহণকারী সেনা ও নৌসেনার কাজে সাহায্য করতে এই ঘাঁটি গড়া হচ্ছে বলে চিন দাবি করেছে।