ওয়াশিংটন : করোনার টিকাকরণ নিয়ে জোর পদক্ষেপ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এরই মধ্যে মৃত্যু প্রতিরোধে করোনা টিকাকরণের গুরুত্ব নিয়ে নতুন গবেষণা সামনে আনল ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। তাদের তরফে পৃথক তিনটি গবেষণায় ভ্যাকসিনের উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে। এজেন্সির মর্বিডিটি ও মর্টালিটি উইকলি রিপোর্টে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।


গবেষণা অনুযায়ী, যাঁরা করোনার ভ্যাকসিন নেননি, তাঁদের এই সংক্রমণে মৃত্যুর সম্ভাবনা ১০ গুণ বেশি, যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের থেকে। দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মানুষকেই করোনার টিকা সুরক্ষা দিচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যু থেকে সুরক্ষা দিচ্ছে ভ্যাকসিন। এমনকী ডেল্টা ভাইরাসের এই তীব্রতার সময়েও। যদিও বয়স্কদের ক্ষেত্রে করোনায় সংক্রমিত হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর হার বেশি দেখা যাচ্ছে। 


এই সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ৬ লক্ষর বেশি করোনা সংক্রমিতের উপর পরীক্ষা-নিরাক্ষা চালায়। ভ্যাকসিন স্ট্যাটাস অনুযায়ী ১৮ বা তার বেশি বয়সিদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। আমেরিকার ১৩টি রাজ্যে ও শহরে ৪ এপ্রিল থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত এই সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে।


গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ফাইজার বা জনসন অ্যান্ড জনসনের থেকে মডার্নার করোনা ভ্যাকসিন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর। এককথায়, ১৮ বা তার বেশি বয়সিদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রুখতে ৯৫ শতাংশ কার্যকর মডার্নার ভ্যাকসিন। অন্যদিকে ফাইজারের ভ্যাকিসন ৮০ শতাংশ এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিন ৬০ শতাংশ কার্যকর।


আমেরিকার ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শন গ্রানিস বলছেন, এই তথ্যগুলি দেখাচ্ছে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হওয়া থেকে অনেকটাই সুরক্ষা দিচ্ছে ভ্যাকসিন। এমনকী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এলেও। উল্লেখ্য, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ভ্যাকসিনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতেও জোরদার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে।