ওয়াশিংটন: অতিমারির দায় নিয়ে সংঘাত চলছিল আগে থেকেই। এ বার কোভিড বিধি-নিষেধ নিয়ে আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে সংঘাত (Indi-China Conflict) চরমে উঠল। তাতে আমেরিকা থেকে চিনগামী ৪৪টি যাত্রীবাহী বিমানের উড়ান বাতিল (US Suspends Chinese Flights) করার সিদ্ধান্ত নিল ওয়াশিংটন। কোভিড বিধি-নিষেধের দোহাই দিয়ে সম্প্রতি আমেরিকার একাধিক বিমান সংস্থার উড়ান বাতিল করে বেজিং। তারই পাল্টা এ বার আমেরিকার তরফে বিমান বাতিল করা হল।
নোভেল করোনাভাইরাসের (Novel Coronavirus) নয়া রূপ ওমিক্রনের (COVID Variant Omicron) প্রকোপে আমেরিকায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিসিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক মাসে আমেরিকায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সে দেশ থেকে আসা বিমানে কোভিড বিধি-নিষেধ সঠিক ভাবে পালিত হচ্ছে না এবং সেখান থেকে সংক্রমণ বয়ে আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বেজিং।
বেজিংয়ের অভিযোগ, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ দেখিয়ে আমেরিকা থেকে বিমানে উঠছেন যাত্রীরা। কিন্তু তাদের দেশের বিমানবন্দরে যখন পরীক্ষা করা হচ্ছে, তখন তাঁদের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ আমেরিকার তরফেই গাফিলতি থাকছে। তাতেই জবস্বার্থে দেশের মাটিতে সম্প্রতি আমেরিকান, ডেল্টা এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমানের অবতরণ সাময়িক নিষিদ্ধ করে বেজিং।
আরও পড়ুন: Covid Pandemic: করোনা থাকবেই, তবে চলতি বছরেই শেষ হতে পারে অতিমারী!
কিন্তু চিনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায় আমেরিকার পরিবহণ বিভাগ। শুক্রবার লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে তারা জানায়, চিনের নির্দেশিকা অনুযায়ী কড়া বিধিনিষেধে উড়ান পরিষেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে। কিন্তু আমেরিকা থেকে যাওয়ার পর চিনে যদি কারও শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে, তার দায় আমেরিকার নয়। তাই আমেরিকার উপর এর মাসুল চাপানো অনুচিত। তার পরেও দু’তরফে বরফ না গলায় চিনগামী ৪৪টি বিমানের উড়ান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা।
আমেরিকা যে ৪৪টি বিমানের উড়ান বাতিল করেছে তার মধ্যে এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স, চায়না সাদার্ন এয়ারলাইন্স এবং শিয়ামেন এয়ারলাইন্সের একাধিক বিমান রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের (Beijing Winter Olympics) আসর বসছে। তার আগে দুই দেশের এই উড়ান সংঘাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু চিনের দাবি, শুধু আমেরিকা নয়, গত সপ্তাহে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ ধরা পড়ার পর একাধিক দেশের উড়ান বাতিল করেছে তারা। সীমান্তেও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।