ফোয়েনিস্কের ৮০ কিমি উত্তরে উইকেনবার্গের কাছে গত ১২ অক্টোবর ৬০ ন্যাশনাল রুট দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন ৫৩ বছরের ওই মহিলা। সেই সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। অ্যারিজোনার জননিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
হাইওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে গাড়িতে ৫০ ফুট নিচের একটি গাছের ওপর গিয়ে পড়ে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই গাছের ওপর পড়ে গাড়িটি শূন্যে ঝুলতে থাকে।
দুর্ঘটনাটির ব্যাপারে কারুর কাছে বিন্দুবিসর্গ কোনও খবর ছিল না। কারণ, ওই দুর্ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না।
গত ১৮ অক্টোবর হাইওয়ের রক্ষণাবেক্ষনের কাজে নিযুক্ত কর্মী ও একজন পশুশালার মালিক গাড়িটিকে গাছের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। পশুশালা থেকে পালিয়ে আসা একটি গরুকে ধরতে গিয়ে তাঁদের চোখে জাতীয় সড়কের ভাঙা রেলিং চোখে পড়ে। এরপর তাঁরা ভাঙাচোরা একটি গাড়ি গাছে আটকে থাকতে দেখেন।
উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য ও রক্ষণাবেক্ষনের কাজে নিযুক্ত কর্মী এবং পশুশালার মালিক গাড়িতে কাউকে দেখতে পাননি। তবে নদীর দিকে একটি পায়ে চলা পথ দেখতে পান। ওই পথ বেড়ে ৪৫৭ মিটার যাওযার পর আহত ও অবসন্ন অবস্থায় ওই মহিলাকে দেখতে পান।
ওই মহিলা তাঁদের জানান যে, তিনি গাড়ির ভেতর কয়েকদিন ছিলেনষ তারপর গাছ থেকে কোনওক্রমে নিচে নামেন। তাঁকে কেউ দেখতে পাবে, এই আশায় তিনি রেল রোড পথের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি এতটাই দুর্বল ছিলেন যে, অতদূরে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।
উদ্ধারের পর মহিলাকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জননিরাপত্তা বিভাগের ডিরেক্টর কর্নেল ফ্র্যাঙ্ক মিলস্টেড উদ্ধারকারীদের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, উদ্ধারকারীদের প্রচেষ্টাতেই ওই মহিলার প্রাণরক্ষা হল।