ওয়াশিংটন: ‘প্রহারেণ ধনঞ্জয়’ বোধহয় একেই বলে!বাড়িতে অতিথিরা এসেছে। অনেকক্ষণ কেটে গিয়েছ। কিন্তু ওঠার নামগন্ধও নেই। বরং মদ খেয়ে সময়ের তালে পাল্লা দিয়ে হুল্লোড় তুঙ্গে উঠেছে। কাঁহাতক এই ‘বেয়াড়াপনা’ সহ্য করা যায়। শেষপর্যন্ত বিরক্তির চোটে অতিথিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লেন ৩২ বছরের এক মহিলা। নাম অ্যালানা অ্যানেট সাভেল। আমেরিকার ফ্লোরিডায় পানামা সিটিতে এই ঘটনা ঘটেছে। দুই অতিথি প্রাণভয়ে বাড়ি থেকে দৌড়ে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন তাঁরা।

সাভেলের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বে কাউন্টির শেরিফের দফতর জানিয়েছে, মিসেস কির্স্টি জো মেহর ও তাঁর বয়ফ্রেন্ড সাভেলের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। কির্স্টি জানিয়েছেন, তাঁর পায়ে যেন কিছু একটা এসে আঘাত করে। দৌড়ে তাঁরা গাড়িতে গিয়ে ওঠেন।

সাভেল বলেছেন, কির্স্টি ও তাঁর বয়ফ্রেন্ড বাড়িতে এসে মদ্যপান শুরু করেন। সেইসঙ্গে হৈহুল্লোড় জুড়ে দেন।  সাভেলের মনে হচ্ছিল, কির্স্টিরা যেন তাড়াতাড়ি বিদেয় হন।কিন্তু তাঁরা ওঠার নামই করছিলেন না। বিরক্ত হয়ে তিনি কির্স্টিদের পা লক্ষ্য করে গুলি চালান।

তদন্তকারীরা সাভেলের বয়ফ্রেন্ডকেও জেরা করেছেন। জেরায় অভিযুক্তের বয়ফ্রেন্ড বলেছেন, তিনি সাভেলকে বলেছিলেন যে, তিনবার বলার পরও কোনও অতিথি যদি উঠতে না চায়, তাহলে বন্দুক নিয়ে এসে মাটিতে গুলি ছুঁড়তে হবে। এতে কাজ না হলে পা লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে হবে।

ঘটনার দিন মাটিতে গুলি ছোঁড়ার পর কির্স্টিদের পা লক্ষ্য করেও গুলি চালাতে শুরু করেন। কির্স্টির পায়ে দুবার গুলি লাগে। ওয়াশিংটন পোস্ট একথা জানিয়েছে।

সাভেল পরে কর্তৃপক্ষের কাছে স্বীকার করেছেন যে, গুলি না চালিয়ে সে ৯১১-তে ফোন করে বেয়াড়া অতিথিদের বের করে দিতে পারতেন।  সাভেল এখন মনে করছেন যে, গুলি চালিয়ে তিনি ভুল করেছেন। কিন্তু কী আর করা যাবে! গুলি চালাতে শুরু করার পর নিজেকে থামাতে পারেননি তিনি।

শেরিফের দফতর জানিয়েছে, গত সোমবারের ওই ঘটনায় সাভেলের বয়ফ্রেন্ডের পায়েও অল্পবিস্তর আঘাত লেগেছে। অতিথিরা চলে যাওয়ার পর সাভেল বাড়ির পাশের একটি ডাস্টবিনে বন্দুকটি ফেলে দেন।

রাত দুটো নাগাদ হাসপাতাল থেকে শেরিফের প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে কির্স্টির চিকিত্সা চলছিল। এরপর সাভেলকে গ্রেফতার করা হয়।