বেজিং: ভারত চিনের মধ্যে যদি যুদ্ধ বাধে আমেরিকা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। চিনের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। মার্কিন বিদেশ নীতি সংক্রান্ত একাধিক বিশেষজ্ঞ এ কথা জানিয়েছেন।


ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ফেলো জ্যাক কুপার বলেছেন, ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষে আমেরিকা যুক্ত হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু ভারত-চিন বাড়তে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে ভারত-আমেরিকার মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বোঝাপড়া আরও সুদৃঢ় হবে।

তাঁর মতে, যদি চিন এভাবে বারবার ভারতকে খোঁচা দিতে থাকে, তবে তাদের কারণেই তৈরি হবে চিন বিরোধী জোট। তাই বেজিংয়ের পক্ষে বুদ্ধির কাজ হল, সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা, দেখা, তা যেন রক্তপাত পর্যন্ত না গড়ায়।

হনলুলুর এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার পর সিকিউরিটির অধ্যাপক মোহন মালিকও মন্তব্য করেছেন, যদি ডোকা লা নিয়ে ভারত-চিন যুদ্ধ বেধেই যায়, তবে ভারতীয় সেনাকে সবরকমভাবে সাহায্য করতে পারে আমেরিকা।এমনকী চিনা নৌবহরের দিকে নজর রাখতে, দরকারে আটকাতে ভারত মহাসাগরে তারা এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার ও সাবমেরিন পাঠাতে পারে।

তাঁর মতে, জনাকয়েক চিনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞর ইচ্ছে, স্বল্পসময়ের যুদ্ধে ভারতকে হারিয়ে দিক চিন, যাতে গোটা এশিয়াকে চিন কেন্দ্রিক তৈরি করতে বেজিংয়ের সুবিধে হয়।

তবে চিনেরও আশঙ্কা, ভারত-চিন যুদ্ধ বাধলে আমেরিকা  ভারতের পক্ষ নেবে। সরকার পরিচালিত সে দেশের সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস বলেছে, পশ্চিমে কিছু শক্তি আছে, যারা চায়, ভারত-চিনের মধ্যে যুদ্ধ হোক। এর ফলে তারা মুফতে কৌশলগত সুবিধে ঘরে তুলবে। এভাবেই দক্ষিণ চিন সমুদ্র সংক্রান্ত বিতর্কে ওয়াশিংটন নাক গলাতে চাইছে।