দুবাই: সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে গিয়ে প্রযুক্তির গঠনমূলক ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, ‘কেউ কেউ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে জিহাদি সংগ্রহ করছে। এখনও দারিদ্র্য ও অপুষ্টি দূর করা সম্ভব হয়নি। আমরা সবার কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে পারিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অর্থের একটি বড় অংশ, সময় ও সম্পদ ব্যয় করছি ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বানানোর কাজে। আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে উন্নয়নের জন্য, ধ্বংসের জন্য নয়।’


ষষ্ঠ ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে ভারত অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে যোগ দিয়েছে। ১৪০টি দেশের চার হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই সম্মেলনে আমার প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়া শুধু আমার কাছেই নয়, ১২৫ কোটি ভারতীয়র কাছে গর্বের বিষয়। দুবাই সরকার যেভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মরুভূমিকে বদলে দিয়েছে, সেটা অলৌকিক। সারা বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়ে চলা সত্ত্বেও ৯.৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, শিক্ষা, আবাসন ও মানব বিপর্যয়ের মতো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে আমাদের। উন্নয়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করা সম্ভব। আমার সরকার প্রযুক্তির মাধ্যমে সেটাই করছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আমাদের সরকারের মন্ত্র হল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। ১২৫ কোটি দেশবাসীকে ক্ষমতাশালী করে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির উপর নজর দিচ্ছে সরকার। গত ২৫ বছরে ভারতে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। সারা বিশ্বে এটা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। ভারতে ট্যাক্সিতে চড়লে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। কিন্তু মঙ্গলে যাওয়ার খরচ প্রতি কিলোমিটারে সাত টাকা। ভারতে ৬৫ শতাংশ নাগরিকের বয়স ৩৫-এর কম। যুবকদের প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতাশালী করে তুললেই নতুন ভারতের স্বপ্ন সফল হবে।’