নয়া দিল্লি: রবিবার আফগানিস্তান দখল করে তালিবানরা। তালিবানদের মতো উগ্রপন্থী ইসালীম সংগঠন আফগানিস্তানে ক্ষমতা কায়েম করলে যে সেদেশে থাকা সংখ্যালঘুদের দুরাবস্থা বাড়বে, এমনকী প্রাণের ঝুঁকিও হতে পারে সেকথা আগেই টের পেয়েছিলেন সকলে। সেই আবহেই স্বদেশে ফিরছে সকলে। আফগানিস্তান ছেড়ে ফেরার হিড়িকের কিছু ভয়ঙ্কর ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেই আবহে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই সে দেশে আঁকড়ে থাকতে চাইছেন কাবুলে বসবাসকারী শেষ হিন্দু পুরোহিত পণ্ডিত রাজেশ কুমার। 


পুরোহিত রাজেশের সাফ দাবি, "আমার পূর্বপুরুষেরা দশকের পর দশক ধরে এই মন্দিরে সেবায়েতের কাজ করেছেন। বংশ পরম্পরায় আমিও সেই কাজ করি। প্রাণ গেলে যাবে কিন্তু আমি এই মন্দির ছেড়ে যেতে পারবো না।" প্রসঙ্গত, কাবুলের রতন নাথ মন্দিরে পুরোহিতের কাজ করেন তিনি।
 
তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নিজ সম্প্রদায় ও তাঁর শুভাকাঙ্খীরা তাকে অনেকেই আগেই দেশ ত্যাগ করতে বলেছিলেন। এমনকী সুরক্ষার জন্য আত্মগোপনের ব্যবস্থাও করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সাহায্য নিতে চাননি তিনি। সকলকেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন কোনও ভাবেই মন্দির ত্যাগ করতে পারবেন না তিনি। তাতে যদি তাঁর প্রাণও যায়, তা হবে ভগবানের সেবারই সমান।


কাবুলের পতন হওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তান এখন কার্যত তালিবানের। ইতিমধ্যেই তালিবানি শাসনে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মহিলাদের জন্য ৷ তাঁরা কার্যত প্রমাদ গুনছেন ৷ ইতিমধ্যেই হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন কাবুলের কারতে পরওয়ান গুরুদ্বারে৷ ৩২০ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। 


সোমবার কাবুল বিমানবন্দর ও আফগানিস্তানের আকাশ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছিল। মঙ্গলবারই কাবুল থেকে ১৫০ জনকে নিয়ে ফিরেছে বায়ুসেনার বিমান। যদিও প্রবাসী কেরাল দফতর (Non-Resident Keralites Affairs)-এর তরফে আটক মালয়ালিদের উদ্ধার করে দেশে ফেরানোর জন্য বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।