নিউ ইয়র্কঃ টিভিতে এক জনপ্রিয় সিরিয়াল ছিল স্টার ট্রেক। সেই সিরিয়ালের মধ্যে দিয়েই ষাটের ও সত্তরের দশকের মানুষ মহাকাশ, গ্রহ নক্ষত্র সম্পর্কে পরিচিত হয়েছিল। সেই সিরিয়ালে একদল অভিযাত্রী মহাকাশে ছুটে চলেছে, এমনটাই দেখা গিয়েছিল। মহাকাশযান ইউ.এস.এস এন্টারপ্রাইসে সেই দলটির নেতা ছিলেন ক্যাপ্টেন র্কাক। যেই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা উইলিয়ম শাটনার। এবার সেই শাটনার সত্যি সত্যিই মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন। এই মুহূর্তে অভিনেতা উইলিয়ম শাটনারের বয়স ৯০। তিনিই হতে চলেছেন বিশ্বের প্রবীণতম মহাকাশ্চারী।


কিছুদিন আগেই মহাকাশ গবেষণায় কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত? তা নিয়ে হল ওয়েবিনার। ইন্সটিটি‍উট অফ পালমোকেয়ারের উদ্যোগে ওয়েব কনফারেন্সে অংশ নেন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পদস্থ কর্তারা। বিশ্বের নিরিখে মহাকাশ গবেষণায় কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত? মহাকাশ গবেষণায় কতটা অগ্রগতি হয়েছে এই দেশের? ভবিষ্যৎই বা কী?


করোনা আবহের মধ্যে বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহে এই নিয়েই আলোচনা হল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। কলকাতার ইন্সটিটি‍উট অফ পালমোকেয়ারের উদ্যোগে, অনুষ্ঠিত হল ওয়েবিনার। আয়োজক ফুসফুস বিশেষজ্ঞ পার্থসারথি ভট্টাচার্য। পালমোকন-২০২১ নামে ওয়েব কনফারেন্স শুরু হয়েছে গত ১২ সেপ্টেম্বর। প্রতি রবিবার চলছে আলোচনা। রবিবাসরীয় পঞ্চমীর সন্ধেয়, পঞ্চম ওয়েবিনারের বিষয়বস্ত ছিল - মহাকাশ গবেষণা। ভারত থেকে পাঠানো উপগ্রহ কীভাবে যোগোযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করছে, মানব কল্যাণে তার ভূমিকা কী, তা নিয়ে ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন অ্যান্ট্রিক্স কর্তা রাকেশ শশীভূষণ। মহাকাশে মানববাহী ‘গগনযান’ পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সেই গগনযানের প্রস্তুতির কথাও উঠে আসে এদিনের সেমিনারে। ভার্চুয়াল আলোচনা সভা পরিচালনা করেন এয়ারোস্পেস-এর আধিকারিক শান্তনু ভৌমিক।


গত ১১ অক্টোবর ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যাসোসিয়েশন (ইসপা)-র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই উদ্বোধন করেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'আমি ভারতীয় মহাকাশ সমিতি চালু করার কর্মসূচিতে যোগ দেব। এই উপলক্ষে মহাকাশ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তি ও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত।'