বেজিং : করোনা ভাইরাসের গবেষণায় অবদানের জন্য উহানের ল্যাবের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া উচিত। এমনই দাবি করা হল চিনের তরফে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মুখপাত্র ঝাউ লিজিয়ান সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি করেছেন। চিনের অভ্যন্তরীণ পুরস্কার প্রদানের মঞ্চে উহানের ল্যাবটি দেশের সেরা নির্বাচিত হওয়ার পরই যে দাবি জানায় তারা। আর বিশ্বমঞ্চে যে খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোশ্যাল মাধ্যমগুলি ভেসে যাচ্ছে কটাক্ষ-মশকরার সুরে।


চিনে গবেষণার সর্বোচ্চ পুরস্কার 'আউটস্ট্যান্ডিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাচিভমেন্ট প্রাইজ' পেয়েছে উহানের ল্যাবটি। সেই ঘোষণার মঞ্চেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলের দাবি। তবে চিনের উহানের এই ল্যাবটি বিশ্বজুড়ে করোনার প্রার্দুভাবের সময় থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রস্থলে। একাধিক মহল থেকে দাবি করা হয়, উহানের ল্যাবটি থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাস। যদিও চিন বরাবর সেই দাবি অগ্রাহ্য করেছে। পাশাপাশি যে দাবি প্রমাণ করার মতো কোনও ভিত্তিও পাওয়া যায়নি। তবে কোভিড ভাইরাসের উৎস ঠিক কীভাবে তা জানতে বারবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল উহানের ল্যাবে যেতে চাইলেও তাদের সেই পথ সুগম করে দেয়নি চিন। বরং বাধাই দেওয়া হয়েছে সেই পথে।


চিনের উহানের ল্যাবে গিয়ে নিরপেক্ষ গবেষণা ও সার্স-কোভ ২ ভাইরাসের উৎসস্থল খুঁজে বের করার চেষ্টায় বাধা ঘিরেই অবশ্য বিতর্ক আরও মাথাচাড়া দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক মহলের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগও করা হয়েছে যে, বায়োলজিক্যাল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেই ইচ্ছাকৃতভাবে উহানের ল্যাব থেকে ভাইরাল লিক করা হয়েছে। স্বয়ং চিনের ভাইরোলজিস্ট চিকিৎসক লি-মেং ইয়ানও দাবি করেছিলেন এমনটাই। এবারে চিনের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলের দাবি প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, 'যত দিন এগোচ্ছে ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে যে উহানের ল্যাব থেকেই লিক করেছিল করোনা ভাইরাস। এমন অবস্থায় চিনের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলের দাবি হাস্যকর। পাগলের প্রলাপ যেন।'


বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমেও খোঁচা, সত্যিই উহানের ল্যাবটি এমন একটা কাজ করেছে, যাতে গোটা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয়েছে। মশকরার ভঙ্গিতে যোগ, উহানের ল্যাবকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ও আইসিসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হোক।