সিওল (দক্ষিণ কোরিয়া) : চিনের পর এবার কোভিডের ভয়ঙ্কর রূপ দক্ষিণ কোরিয়ায়। একদিনে ৪ লক্ষর বেশি সংক্রমণ। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হলেন ৪ লক্ষ ৭৪১ জন জন। গত বছর জানুয়ারিতে প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর যা সর্বাধিক বলে জানা গেছে।


নতুন করে এত সংখ্যক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৭,৬২৯,২৭৫। এমনই জানিয়েছে সাউথ কোরিয়া কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সি। এদিকে অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার পর গত মঙ্গলবার সবেথেকে বেশি মৃতের সংখ্যা দেখা যায় এখানে। একদিনে মৃত্যু হয় ২৯৩ জনের। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সূত্রের এমনই খবর।


কোথায় দাঁড়িয়ে চিন ?


চিনে ফের নতুন করে দাপট দেখাচ্ছে করোনা। বুধবার এখানে নতুন করে সংক্রমিত হন ৩,২৯০ জন। এর মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এই চিনেই উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। তবে, গত একবছরে সেখানে করোনায় মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চিনে শেনজেনে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। যার জেরে ১৭ লক্ষর বেশি মানুষ নতুন করে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। শাংহাই এবং অন্যান্য শহরেও বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে। 


ভারতের করোনা আপডেট : 
দেশে করোনার গ্রাফের ওঠানামা চলছেই। গতকালের তুলনায় বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৭৬ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৬৮।  


এদিকে গোটা দেশে শুরু হয়েছে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের কেবল কোর্বেভ্যাক্সের টিকাই দেওয়া হবে। ২০১০-এর ১৫ মার্চের আগে যারা জন্মেছে, তারা করোনা টিকা নিতে পারবে। এই পর্যায়ে ভ্যাকসিন পাবে প্রায় ৮৫ কোটি কিশোর-কিশোরী। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে কো-মর্ডিবিটি নেই, ষাটোর্ধব এমন ব্যক্তিরাও করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ নিতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ পর এই ডোজ নেওয়া যাবে।