কলকাতা: সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য যে কোনও দেশের সরকারই কমবেশি কাজ করে। কিন্তু শুধু সরকার বা প্রশাসনের কাজের উপর ভিত্তি করেই উন্নতি ঘটতে পারে না কোনও এলাকার পিছিয়ে পড়া অংশের। সেই উন্নতির পিছনে অবদান থাকে বিভিন্ন ছোটবড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের (non governmental organisation)। সামাজিক উন্নতিতে এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির অবদানের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্যও ধার্য হয়েছে বিশেষ একটি দিন। আজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব এনজিও দিবস (world ngo day)। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী এবং সংস্থার কাজে যাঁরা নানাভাবে সাহায্য করে থাকেন, তাঁদের সবার অবদানই স্মরণ করা হয় দিনটিতে।
প্রথম কবে?
বিশ্ব এনজিও দিবস নিয়ে প্রথম প্রস্তাব ওঠে ২০১০ সালের ১৭ এপ্রিল। ওই দিন ইউরোপের একটি ছোট্ট দেশ লিথুয়ানিয়ার ভিলিনিয়াসে বাল্টিক সি এনজিও ফোরামের ( Baltic Sea NGO Forum) পক্ষ থেকে এই দিনটির প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই গোষ্ঠীতে ছিল বেলারুশ, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড. জার্মানি, আইসল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, পোল্য়ান্ড, রাশিয়া, নরওয়ে. সুইডেন, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া।
প্রথম উদযাপন ২০১৪-তে
প্রস্তাব আগে হলেও বিশ্ব এনজিও দিবস প্রথম বড় করে পালিত হয় ফিনল্যান্ডে। ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ফিনল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সেটি। তারপর থেকে সেইদিনটিতেই পালিত হয় বিশ্ব এনজিও দিবস। বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফেও এই দিনটিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাজের গুরুত্বকে স্মরণ করা হয়। কারণ বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রকল্প, আন্তর্জাতিক প্রকল্প মাটিতে দাঁড়িয়ে বাস্তবে পরিণত করতে সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে বিভিন্ন ছোট বড় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সংজ্ঞা অনুযায়ী সাধারণত ২ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থাকে। একটি হল অপারেশনাল (operational) এবং অন্যটি হল অ্য়াডভোকেসি (advocacy)। তৃণমূল স্তরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়ন ও বাস্তবায়নের কাজটিকেই অপারেশনাল বলে অভিহিত করা হয়। প্রতিবছরই বিশেষ এই দিনটির আলাদা থিম (theme) ঠিক করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন ২টো করে ডিম খাচ্ছেন? কী হতে পারে জানা আছে?