কলকাতা: ডিম (Egg) স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। শরীরের নানা প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে ডিম। নানা অসুখ প্রতিরোধ করা থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, সমস্ত কিছুর জন্য দারুণ উপকারী ডিম। 'সান ডে হো ইয়া মন ডে, রোজ খাও আন্ডে'। তাই এই কথা আজও ব্যাপকভাবে প্রচলিত। ডিম সেদ্ধ করে খান কিংবা পোচ করে কিংবা ভেজে, সবরকমভাবেই ডিম শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু প্রতিদিন যদি দুটো করে ডিম খান, তাহলে তা কি আদৌ উপকারী? নাকি ক্ষতিকর? প্রতিদিন ২টো করে ডিম খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


প্রতিদিন দুটো করে ডিম খেলে কী হবে?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন দুটো করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং বেশ কিছু উপকার করে। প্রতিদিন দুটো করে ডিম খেলে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেয টানা ৬ সপ্তাহ প্রতিদিন দুটো করে ডিম খেলে তবেই উপকার পাওয়া যায়।


২. প্রতিদিন দুটো করে ডিম খেলে তাতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, বায়োটিন, থিয়ামিন এবং আরও অনেক উপকারী উপাদান আমাদের ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে দেয় না। নখ ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।


আরও পড়ুন - Study: মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মানুষ কী দেখে? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য


৩. করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন দুটো করে ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলে মত তাঁদের।


৪. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ডিমে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস। যা চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।


৫. স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে।


৬. ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। পেশি গঠনে যা অত্যন্ত সহায়ক। যাঁরা ওজন বাড়াতে চাইছেন, তাঁরা নিয়মিত খাবারের তালিকায় ডিম রাখুন। এমনটাই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তবে, যদি কারও অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার।


এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন। তাতে ডিমে থাকা প্রোটিন সঠিকভাবে শরীরে উপকার দেয়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।